আন্তর্জাতিক
৮০০ বছর পরও চেঙ্গিসের বংশোধর রয়েছে দেড় কোটি!
গবেষকদের দাবি, এশিয়া জুড়ে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন মঙ্গোল সম্রাট চেঙ্গিস খানের বংশোধররা। তার উত্তর পুরুষের সংখ্যা দেড় কোটির বেশি বলে অনুমান। ফলে অনেকেরই শরীরে চেঙ্গিস খানের রক্তের নমুনা বা ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত
১২০৬-তে মঙ্গোলিয়ার রাজা হন চেঙ্গিস। সেই সময় ওই এলাকার নাম ছিল কুরুলতাই খেন্তি। সিংহাসনে বসেই বিশ্বজয়ে বের হন তিনি। প্রথমেই চীন আক্রমণ করেন তিনি। মঙ্গোল আক্রমণের ঝড় তৎকালীন ড্রাগনল্যান্ড সহ্য করতে পারেনি। চীনের জিন রাজবংশকে হারিয়ে পশ্চিম এশিয়ার দিকে এগিয়ে যান এই মঙ্গোল সম্রাট। মাত্র দু’দশকের মধ্যেই বিশাল সাম্রাজ্য তৈরি করে ফেলেন চেঙ্গিস খান। চীন ছাড়াও রাশিয়া, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, জর্জিয়া, ইরাক, ইরান, তুরস্ক, কাজাখস্তান, কিরগিজিস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, দুই কোরিয়া ও কুয়েত ছিল তার অধীনে। তবে কোনও দিনই ভারত আক্রমণ করেননি তিনি।
সাম্রাজ্য তৈরির পাশাপাশি একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল চেঙ্গিসের। তার সন্তানের সংখ্যা নিয়ে ইতিহাসে একাধিক জল্পনা রয়েছে। ১২২৭-তে মৃত্যু হয় চেঙ্গিসের। এর পর থেকেই ধীরে ধীরে মঙ্গোলরা দুর্বল হতে শুরু করে। যদিও তার মৃত্যু পর প্রায় দেড়শ বছর ধরে ওই সাম্রাজ্য ভোগ করেন চেঙ্গিসের পুত্র ও নাতিরা। গবেষকদের দাবি, বিশাল সাম্রাজ্য তৈরি করার জেরেই মঙ্গোল সম্রাটের বংশোধররা এশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। আজও তাদের উত্তর পুরুষদের দেখা মেলে। সেই কারণেই এই মহাদেশের ১.৬ মিলিয়ান বাসিন্দাকে চেঙ্গিসের বংশোধর বলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ১৫২৬-এ পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে হারিয়ে দিল্লি দখল করেন জাহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর। ভারতবর্ষে সূত্রপাত হয় মুঘল সাম্রাজ্যের। এই মুঘলরাও ছিলেন মঙ্গোলদের উত্তর পুরুষ, জানিয়েছেন ঐতিহাসিকরা। চেঙ্গিস খানের সমাধির অবশ্য কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। বহুমূল্য ধনরত্ন থাকায় কোনও গোপন জায়গায় তাঁকে কবর দেওয়া হয় বলে অনুমান। তবে মঙ্গোলিয়া ভোলেনি চেঙ্গিসকে। তার নামের সংগ্রহশালা থেকে শুরু করে দেশের মুদ্রার নামও রাখা হয়েছে মহান এই সম্রাটের নামেই। এছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘোড়ায় চড়া মূর্তি রয়েছে মঙ্গোলিয়ায়। সেখানেও স্বমহিমায় রয়েছেন চেঙ্গিস খান।