নর্স সৃষ্টিতত্ত্ব বলছে, স্কল নামের এক নেকড়ে সূর্যকে এবং হাতি নামের এক নেকড়ে চন্দ্রকে ধাওয়া করে চলছে সৃষ্টির পর থেকেই। বলা হয়ে থাকে, হাতি চন্দ্রকে কামড় দিয়ে অল্প অল্প করে খসিয়ে নেয় বলেই চাঁদের হ্রাস ঘটে প্রতি মাসে। এ সময়টায় সময় স্কল আর হাতি শিকার ধরে ফেলবে। আকাশ থেকে গায়েব হয়ে যাবে চন্দ্র আর সূর্য। তারাগুলোও ধ্বংস হবে; থাকবে শুধু ঘোর অন্ধকার। নয়টা জগৎকে ধারণ করা মহাবৃক্ষ ইগদ্রিসিল হঠাৎ কেঁপে উঠবে। মাটিতে ধসে পড়বে সকল গাছ এবং পাহাড়। নর্স মিথলজিতে এই ঘটনাপ্রবাহকে বলা হয়েছে, র্যাগনারক বা সময়ের সমাপ্তি হিসেবে।
তবে এটাই পৃথিবীর শেষ হয়ে যাওয়া নয়, বরং এখান থেকেই জন্ম হবে আবার সবকিছুর। পানির মধ্য থেকে জন্ম নেবে সবুজ, বিশুদ্ধ এবং সুন্দর পৃথিবী। উপকথা থেকে এবার নজর দিতে চাই বিভিন্ন ধর্মীয় মতবাদে। আচ্ছা, আব্রাহামিক ধর্ম সম্পর্কে জানেন তো? আব্রাহামিক ধর্ম ৩টি- খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম ধর্ম এবং ইহুদী ধর্ম।
খ্রিস্ট ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ বাইবেলে অবশ্য পৃথিবীর শেষ দিন কেমন হবে সেটি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয় নি, এমনকি পৃথিবী ধ্বংস হবে সেটি নিয়েও উল্লেখ করার মতো কোনো তথ্য আসে নি। বাইবেল বলছে, পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য পরিবর্তন হয়নি। ঈশ্বরের বাক্য স্পষ্টভাবে বলে: “পৃথিবী নিত্যস্থায়ী।” শুধু তা-ই নয়, মানুষ এই পৃথিবীতে চিরকাল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের এই গ্রন্থে।
বলা হয়েছে, “ধার্ম্মিকেরা দেশের অধিকারী হইবে, তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।” স্বর্গ হল ঈশ্বরের কিন্তু পৃথিবী মানুষের। বাইবেল এমন “পৃথিবীর” বিষয়ে বলে, যেখানে “বসতি” থাকবে।যিশু হলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি স্বর্গে গিয়েছিলেন আর বাইবেল দেখায় যে, বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি স্বর্গে যাবে। যিশুর সঙ্গে তারা “পৃথিবীর উপরে রাজত্ব করিবে।” তার মানে পৃথিবীর শেষ দিন বলে কোনো কিছু নেই বাইবেলের ভাষায়?