আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পটুয়াখালী, আহত শতাধিক
রাজনীতি
আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পটুয়াখালী, আহত শতাধিক
বিএনপির ডাকা জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় পটুয়াখালী রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
দুপক্ষের লাঠিসোঁটার উত্তাপে গোটা শহরে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। শঙ্কা ও দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট সড়কগুলোতে দুপুর পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ চালায়। জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ১০টায় শহরের বনানীতে অস্থায়ী কার্যালয়ে জনসমাবেশ শুরু করে বিএনপি। ওই জনসমাবেশে অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চুন্নু মিয়া ও সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার, বিএনপির অন্যতম নেতা সাবেক পৌর মেয়র মোস্তাক আহমেদ পিনু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনসহ জেলা বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীরা। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও বাজার নিয়ন্ত্রণসহ ১০ দফা দাবিতে নেতাকর্মীদের বক্তব্য শুরু করলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সরকার দলীয় লোকজন তাদের ওপরে আতর্কিত হামলা শুরু করে।

এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরাও পালটা হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষে মধ্য দফায় দফায় পালটা পালটি ধাওয়া চলে। দুপক্ষের হাতে ছিল লাঠিসোঁঠা ও লোহার রড। দুই পক্ষের নিক্ষেপ করা ইটপাটকেলে সরকারি কলেজ সড়ক থেকে সিঙ্গারা পয়েন্ট পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে পরে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ঘণ্টাব্যাপী পালটা পালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষে গোটা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এসময় বিক্ষুব্ধরা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ টিয়ারশেল মারতে ও লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। সব ধরনের আশঙ্কা এড়াতে ঘটনাস্থলে অবস্থান করেন এসপি মো. সাইদুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল এসপি আহমাদ মাঈনুল হাসান ও সাজেদুর ইসলাম এবং র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান।

এ প্রসঙ্গে এসপি মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্য ধাওয়া পালটা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে জনগণের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ টিয়ারশেল ব্যবহার করেছেন এবং স্বল্প সময়ে মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
রাজনীতিসারাদেশপটুয়াখালীআওয়ামী লীগবিএনপি
আরো পড়ুন