ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য চুক্তি নবায়নে পুতিনকে রাজি করালেন এরদোয়ান!
আন্তর্জাতিক
ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য চুক্তি নবায়নে পুতিনকে রাজি করালেন এরদোয়ান!
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য চুক্তি বাড়ানোর জন্য সম্মত হয়েছে। পুতিন আমার সঙ্গে এই চুক্তির নবায়নের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।’ 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
শুক্রবার (১৪ জুলাই) এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগস্টে পুতিনকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। কৃষ্ণসাগরের শস্য করিডোর সম্প্রসারণের বিষয়ে আমরা একমত। এরদোয়ান জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে তিনি এবং পুতিন একই মনোভাবে বিশ্বাসী।’ তবে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি ক্রেমলিন। মস্কো বলেছে, শর্তপূরণ করলেই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি ব্যাহত হয়,যার ফলে কিছু দেশে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দেয় এবং বিশ্বজুড়ে দাম বেড়ে যায়। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্যমতে, ইউক্রেনে উৎপাদিত শস্য বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০ কোটি লোকের খাবারের জোগান দেয়। ২০২২ সালের জুলাই মাসে কৃষ্ণসাগরে শস্য চুক্তি সাক্ষরে মধ্যস্থতা করেছিল তুরস্ক। এরপর এই চুক্তি বেশ কয়েকবার নবায়নও হয়েছে। চুক্তিটির ফলে ইউক্রেন তিন কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন শস্য রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। এই শস্যের বেশিরভাগই আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গেছে।
আগামী ১৮ জুলাই চুক্তিটি শেষ হয়ে যাবে৷ অথচ, হর্ন অব অফ্রিকা অঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণে শস্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শস্য ঘাটতিতে ভুগছে ইরিত্রিয়া, সোমালিয়ার মতো দেশগুলো। মস্কো বারবার কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি পুনর্নবায়ন না করার হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের অভিযোগ, চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার সার এবং শস্য রপ্তানি সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। অর্থপ্রদান, সরবরাহ এবং পরিবহণ সংক্রান্ত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হতে চায় রাশিয়া। তাদের দাবি, রপ্তানির ক্ষেত্রে এগুলো বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, চুক্তির অধীনে রাশিয়ার দাবিগুলোর একটিও পূরণ হয়নি।পুতিন বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, কিছুই করা হয়নি। সবই একতরফা। আমরা কী করবো, তা নিয়ে আবার ভাবতে হবে। আমাদের হাতে আরো কয়েক দিন আছে।’
আন্তর্জাতিকতুরস্ক
আরো পড়ুন