
উন্নয়নের জন্য শিল্পায়ন দরকার। আবার পরিবেশ ঠিক রাখাও অপরিহার্য। উন্নত বিশ্বে এখন একজনের বর্জ্য আরেকজন কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। সরকার, ব্যবসায়ীসহ সবার সম্মিলিত উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নতি আনতে হবে। গতকাল রোববার (১৬ জানুয়ারি) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত এক সেমিনারে এমন মতামত তুলে ধরেন বক্তারা। রাজধানীর এফবিসিসিআই মিলনায়তনে 'বাংলাদেশে সার্কুলার ইকোনমির বর্তমান অবস্থা:সমস্যা ও সামাধান' শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বর্ধিত নগরায়নের সঙ্গে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রাসায়নিক বর্জ্যে পরিবেশ, বায়ু, পানি দূষিত হচ্ছে। ই-বর্জ্য থেকেও পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি বেড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে বছরে চার লাখ টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য জমা হয়। এর মধ্যে মাত্র তিন শতাংশ পুনরায় ব্যবহার করা হয়। ই-বর্জ্যসহ সব ধরনের বর্জ্যের পুনঃব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। ব্যবসায়ীকভাবে বর্জ্যের ব্যবহার করতে পারলে সবাই উপকৃত হবে। এ জন্য নীতি প্রণয়ণসহ সরকারের দিক থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

