বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বিয়ের আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সঞ্জয় মাহাতো, সেই অনুযায়ী কথা রাখলেন তিনি। সঞ্জয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলায় বসবাস করেন। তিনি বলেন, আমি এবং আমার স্ত্রী কয়েক বছর ধরেই বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। অবশেষে সেই দিনক্ষণ আসলো। এ বছরের এপ্রিলে বিয়ে করি। তখন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম স্ত্রীকে চাঁদ এনে দিব। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আর পূরণ করতে পারিনি। বিয়ের পর তার প্রথম জন্মদিন। চিন্তা করলাম তাকে কি উপহার দেয়া যায়। চাঁদের একটি প্লট তাকে উপহার দিলে মন্দ হয় না।

সঞ্জয় জানান, এক বন্ধুর সহযোগিতায় ‘লুনা সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল’-এর মাধ্যমে চাঁদের ওই জমি কিনেছেন। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে তার প্রায় এক বছর লেগে গেছে। চাঁদের জমি কেনার স্বীকৃতি হিসেবে সঞ্জয়কে একটি দলিলও প্রদান করা হয়েছে। সঞ্জয় বলেন, ‘আমি তার (স্ত্রী) জন্য চাঁদে এক একর জমি কিনেছি।’ জমি কিনলেও চাঁদে সশরীরে যাওয়া যাচ্ছে না। 

এ বিষয়ে সঞ্জয় বলেন, নিজেদের বাগানে বসে তার স্ত্রী যখন চাঁদের দিকে চেয়ে থাকেন তখন তিনি অন্য রকম এক অনুভূতি লাভ করেন। তাদের প্রেমের গল্পে এ বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে জাতিসংঘ আউটার স্পেস ট্রিটি করে। এ চুক্তি অনুযায়ী চাঁদের কোনো কিছুর মালিকানা কেউ দাবি করতে পারবে না। তবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে কোনো ধারা এতে নেই।