সাড়ে ৩ হাজার টাকার জন্য মাকে হত্যা করল ছেলে
জাতীয়
সাড়ে ৩ হাজার টাকার জন্য মাকে হত্যা করল ছেলে
সাড়ে ৩ হাজার টাকার জন্য মাথায় আঘাতের পর শ্বাসরোধে মাকে হত্যা করেছে ছেলে। আর এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নাটক সাজিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তার। আটক হয়েছে পুলিশের হাতে।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মুগদার দক্ষিণ মান্ডা মহিলা মেম্বার গলির ১৩১০ নম্বর বাড়ির নিচ তলা থেকে নিহত মমতাজ বেগমের (৫০) মৃতদেহ উদ্ধারের পর এ তথ্য জানা যায়। মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছেলে সোহান হাওরাদার (১৫) তার মা মমতাজের মাথায় আঘাত করে। এরপর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে।
তিনি জানান, সোহান তার এক বন্ধুর মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে সেটি নষ্ট করে ফেলেছে। সেটি মেরামত করতে দিয়েছে সোহান। সেখানে বিল হয়েছে সাড়ে তিন হাজার টাকা। মায়ের কাছে এই টাকা দাবি করেছিল সে। তবে তার মা টাকা দিতে রাজি হননি। এ জন্য কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মায়ের মাথায় আঘাত করে। এরপর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনার পরপরই তাকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত মমতাজের বড় ছেলের স্ত্রী ডলি আক্তার জানান, তিনি স্বামীকে নিয়ে থাকেন মধ্য বাড্ডায়। সকালে তার মেঝো দেবর তাদেরকে ফোন দিয়ে জানায়- তার শ্বাশুড়িকে কারা যেনো মেরে ফেলেছে। পরে ওই বাসায় গিয়ে মমতাজের লাশ দেখতে পান তিনি। তিনি জানান, পুলিশের কাছ থেকেই তারা শুনেছেন, নিহতের ছোট ছেলে সোহানই তাকে খুন করেছে। সাড়ে তিন হাজার টাকার জন্য তার মাথায় আঘাত করেছিল প্রথমে। এরপর তার ওড়না দিয়েই গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে। নিহত মমতাজের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সলদী গ্রামে। তিন ছেলের জনক তিনি। তার স্বামী আব্দুল জলিল হাওলাদার নিরাপত্তা কর্মীর চাকরি করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত্রীকালীন ডিউটিতে ছিলেন তিনি। ছোট ছেলেকে নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। বড় দুই ছেলে আলাদা বাসায় থাকেন। সোহান বেকার।

দক্ষিণ মান্ডার ওই বাড়িটির মালিকের ছেলে সাব্বির আহমেদ জানান, সকাল পৌনে ৭ টার দিকে সোহান তাদেরকে খবর দেয় যে, ভোরে সে বাইরে খেলতে গিয়েছিল। সেখান থেকে বাসায় ফিরে রুমে ঢুকে তার মাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সে। তার মাকে কেউ খুন করে চলে গেছে বলে সে তখন সবার কাছে দাবি করতে থাকে। তখন সাব্বির ট্রিপল লাইনের মাধ্যমে মুগদা থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। তাদের সন্দেহ হলে ছেলে সোহানকে তারা আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে মাকে হত্যার কথা সে স্বীকার করেছে। 
জাতীয়অপরাধ
আরো পড়ুন