আন্তর্জাতিক
অ্যান্টার্কটিকায় প্রথম বিমানের অবতরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি
২০২১ সালের ২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে উড্ডয়নের পর এয়ারবাস এ৩৪০ বিমানটি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পৃথিবীর সর্ব দক্ষিণের মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকায় এয়ারবাস অবতরণ করেছে। বিশেষ ওই ফ্লাইটটি পরিচালনা করে 'হাই ফ্লাই' নামে একটি বুটিক এভিয়েশন কোম্পানি।

ছবি: ইউরেশিয়ান টাইস
বিস্তীর্ণ সাদা বরফের কারণে 'হোয়াইট কনটিনেন্ট' নামে পরিচিত অ্যান্টার্কটিকা। ওই অঞ্চলে কোনো বিমানবন্দর না থাকলেও, ৫০টি ল্যান্ডিং স্ট্রিপ এবং রানওয়ে রয়েছে। যদিও বেশিরভাগ মানুষ জাহাজে করেই অ্যান্টার্কটিকা যায়। এমন প্রেক্ষাপটে সেখানে যাত্রীবাহী বিশাল এয়ারবাস অবতরণ করতে দেখা ছিল এই প্রজন্মের জন্য একটি বিরল ঘটনা। ফ্লাইটটি পরিচালনায় বিনিয়োগ করে 'ওলফ'স ফ্যাং' নামে একটি অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প। ট্যুরিজম কোম্পানি হোয়াইট ডেজার্টের একটি নতুন প্রকল্প এই ওলফ'স ফ্যাং। যারা অ্যান্টার্কটিকায় পর্যটন নিয়ে কাজ করে। কেপটাউন থেকে অ্যান্টার্কটিকা পর্যন্ত আড়াই হাজার নটিক্যাল মাইল যেতে বিমানটির সময় লাগে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মতো।

ছবি: ইউরেশিয়ান টাইস
পৌঁছানোর পর ক্রুরা তিন ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। অ্যান্টার্কটিকা পৌঁছানোর পর বিমানটি ওলফস ফ্যাংয়ের একটি নিজস্ব রানওয়েতে অবতরণ করে। ওই যাত্রায় বিমানটির ক্রু দলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন কার্লোস মিরপুরি। তিনি একাধারে হাই ফ্লাই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট।

ছবি: ইউরেশিয়ান টাইস
বরফে আলোর প্রতিফলনের কারণে অ্যান্টার্কটিকায় বিমান অবতরণ করানো বেশ কঠিন একটি কাজ। এই কাজ সফলভাবে করতে সাহায্য করে সঠিক চশমা ব্যবহার এবং সহকারী পাইলটের দক্ষতা।
দ্য ইউরেশিয়ান টাইসকে মিরপুরি বলেন, বরফে আলোর প্রতিফলনের কারণে অ্যান্টার্কটিকায় বিমান অবতরণ করানো বেশ কঠিন একটি কাজ। এই কাজ সফলভাবে করতে সাহায্য করে সঠিক চশমা ব্যবহার এবং সহকারী পাইলটের দক্ষতা। অ্যান্টার্কটিকায় যাওয়া প্রথম ফ্লাইট ছিল 'লকহিড ভেগা' নামে একটি মনোপ্লেন। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়া বিমান বাহিনীর পাইলট জর্জ হিউবার্ট উইলকিন্স ফ্লাইটটি পরিচালনা করেন। অ্যাটার্কটিকার ভূতত্ত্ব সম্পর্কে গবেষণা করার জন্য তখন এ ধরনের ছোট ছোট অভিযানমূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হতো।
তথ্যসূত্র: দ্য ইউরেশিয়ান টাইস