অধ্যাপক তাহের হত্যা: আসামিদের যেকোনো সময় ফাঁসি কার্যকর
শিক্ষা
অধ্যাপক তাহের হত্যা: আসামিদের যেকোনো সময় ফাঁসি কার্যকর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারকে ডেকেছেন কারা কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুই আসামির পরিবারের সদস্যরা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেছেন। যেকোনো সময় আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। এর আগে এদিন সকালে কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের করা সবশেষ আবেদনও খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। এতে যে কোনো সময় দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে আর বাধা নেই।

তাহেরের হত্যা ৭১ এর বর্বরতাকে স্মরণ করিয়ে দেয় বলে আপিল বিভাগ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন। এদিকে, গত শুক্রবার (২১ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে বুকে ব্যথা উঠলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এর আগে, গত ১৯ জুলাই রাজশাহী জেলা কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি ২৫ জুলাই রাতে কার্যকর করা হবে। এর আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানান আসামিরা। তবে তা নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংস হত্যার শিকার হন তিনি। নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ৩ ফেব্রুয়ারি একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন: অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন: নাজমুল আলম ও আবদুস সালাম।
শিক্ষারাজশাহীআইন বিচাররাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আরো পড়ুন