লাগামহীন রডের বাজার, নেপথ্যে যেসব কারণ
অর্থনীতি
লাগামহীন রডের বাজার, নেপথ্যে যেসব কারণ
দেশে প্রতিদিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে রডের দাম। গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দেশের বাজারে সর্বকালের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে ভবন নির্মাণের প্রধান এই কাঁচামাল। অন্যদিকে, রডের মূল্য এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা! সোমবার (২২ আগস্ট) কোম্পানি ভেদে (৬০ গ্রেডের ওপরে) খুচরা বাজারে প্রতি টন রডের দাম ছিল ৯১ থেকে ৯৬ হাজার টাকা।
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
মূলত ডলার সংকট এবং পণ্য আমদানির বাধ্যবাধকতায় প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপের আমদানি কমে গেছে। আবার দেশে সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিও রডের মূল্য বৃদ্ধিতে সরাসরি প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন কারখানা মালিকরা। তবে এক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, কারখানা মালিকদের কারণেই বাজারে বেড়েই চলেছে রডের দাম। 
ছবি: ইন্টারনেট
ছবি: ইন্টারনেট
দেশের শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন পোর্টালের এক প্রতিবেদনে রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, প্রধানত ৪ কারণে বাজারে বেড়ে চলেছে রডের মূল্য। প্রধান কারণ হিসেবে তারা জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কাঁচামাল আমদানিতে খরচ বেড়েছে। তৃতীয়ত, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে উৎপাদন কমে বেড়েছে শ্রমিক খরচ। চতুর্থত, জাহাজ আমদানি কমে যাওয়ায় স্ক্র্যাপের (রড তৈরির কাঁচামাল) দাম বেড়েছে। 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
এদিকে, সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণেই হু হু করে রডের দাম বেড়ে চলেছে বলে মনে করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)। কারণ, গেল চার মাসে বিশ্ববাজারে রডের কাঁচামালের দাম কমলেও উক্ত সময়ে মোট ৩ বার রডের দাম বাড়িয়েছে দেশের কোম্পানিগুলো। তবে এই ব্যাপারে একেবারে বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল। সেই অনলাইন পোর্টালকে তিনি বলেন, ‘কাঁচামাল আমদানি থেকে উৎপাদন পর্যন্ত হিসাব করলে রডের দাম এখন অনেক বেশি পড়ছে। অথচ সবকিছু চিন্তা করে রডের দাম সেভাবে বাড়ানো হয়নি। বরং লোকসান দিয়ে রড বিক্রি করছি আমরা। আগে যেখানে ৮৮ টাকায় ডলার কিনতাম এখন ১১২ টাকায় কিনি। মাঝখানে ১৫-২০ টাকা পার্থক্য হয়ে গেছে। অর্থাৎ প্রতি টন স্ক্র্যাপ কিনতে ৯ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা বেশি যাচ্ছে।' 
ছবি: ইন্টারনেট
ছবি: ইন্টারনেট
তিনি আরও বলেন, 'সেইসঙ্গে লাইটার জাহাজ ভাড়া, পরিবহন ভাড়া ও শ্রমিকের বেতন বেড়েছে। রড তৈরিতে ব্যবহৃত অন্যান্য উপকরণের দামও বেড়েছে সমানতালে। তার ওপর সরকারি নির্দেশনা মেনে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সপ্তাহে একদিন মিল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মিল বন্ধ থাকলেও শ্রমিকের বেতন দিতে হচ্ছে। এখানে কারসাজির সুযোগ নেই। খরচ বেড়েছে, এজন্য রডের দাম বেড়েছে।'
অর্থনীতিরিয়েল এস্টেট
আরো পড়ুন