
ভিটামিন বি-১২ শরীরকে অনেক বিপজ্জনক রোগ থেকে রক্ষা করে। যদি আপনার শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি হয়ে থাকে, তাহলে তা ডিমনেশিয়া, রক্তশূন্যতা এবং হাড়ের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ভিটামিন বি-১২ এর অভাব মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে।
পাশাপাশি, ভিটামিন বি-১২ শরীরের লোহিত রক্তকণিকা গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি-১২ শরীরে ফলিক অ্যাসিড যোগানেও সাহায্য করে।
শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি হলে এই লক্ষ্মণগুলি দেখা যেতে পারে- সুষম খাদ্য গ্রহণের পরও যদি আপনি সবসময় ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে তা ভিটামিন বি-১২ এর অভাবের কারণে হতে পারে। এতে হাত-পা অসাড় বোধ হয়।
ত্বকে উপর প্রভাব- ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে ত্বক হলুদ হয়ে যেতে পারে। জিহ্বায় ফুসকুড়ি বা জিহ্বা লাল হওয়াও ভিটামিন বি-১২ এর অভাবের লক্ষ্মণ। এতে মুখে ঘা হওয়ার সমস্যাও হতে পারে।
দৃষ্টিশক্তির উপর প্রভাব- ভিটামিন বি-১২ এর অভাব দৃষ্টিশক্তিকেও প্রভাবিত করে। এতে চোখের নানা সমস্যা হতে পারে।
হতাশা এবং দুর্বলতা- হতাশা, দুর্বলতা এবং অলসতার মতো লক্ষ্মণগুলিও ভিটামিন বি-১২ এর অভাবের কারণে হতে পারে। এরফলে শ্বাসকষ্টও হতে পারে।
মাথাব্যথা- মাথাব্যথা, কানে ব্যথা এবং ক্ষুধামন্দাও ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতিতে হতে পারে।

সয়াবিন- সয়াবিনে ভালো পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ থাকে। সয়া দুধ, টফু বা সয়াবিন সবজি খাওয়া আপনার জন্য উপকারী হবে।
দই- দই খেলেও উপকার পাবেন। দইয়ে ভিটামিন বি-২, বি-১ এবং বি-১২ পাওয়া যায়। বি-১২ এর ঘাটতি মেটাতে খাদ্যতালিকায় কম চর্বিযুক্ত দই যোগ করুন।
ওটস- ওটস ফাইবার এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ।
দুধ এবং পনির- ভিটামিন বি-১২ এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ডায়েটে দুধ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এতে রয়েছে ভালো পরিমাণ ভিটামিন বি-১২। এছাড়া পনির খেলেও উপকার পাবেন।