জাতীয়
সশস্ত্র জঙ্গিদের পাহাড় কেন পছন্দ?
বান্দরবান ও রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়কে প্রশিক্ষণের জন্য বেছে নিয়েছে জঙ্গিরা। সেখানে আস্তানা গেড়ে তারা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়। সম্প্রতি পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণের আস্তানাগুলো গুঁড়িয়ে দেয় র্যাব। গ্রেপ্তার করা হয় নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার শুরা সদস্য, সামরিক শাখার প্রধান রনবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে। দেশে এত জায়গা থাকতে জঙ্গিদের পাহাড় কেন পছন্দ?

ছবি: সংগৃহীত
র্যাব বলছে, মূলত কয়েকটি কারণে পাহাড়ে আস্তানা গড়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিষয়ে সাধারণ মানুষ সচেতন হওয়ায় বাসাবাড়িতে আশ্রয় পাচ্ছে না, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পাহাড়কে নিরাপদ মনে করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অব্যাহত অভিযানের কারণে তারা কোথাও থিতু হতে পারছে না এবং অন্যান্য শ্রেণির মানুষকে সংগঠনভুক্ত করছে চাচ্ছে জঙ্গিরা। কোথাও ঠাই না পেয়ে হিজরতের ঠিকানা হিসেবে বেছে নিচ্ছে জঙ্গিরা। উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন,
‘গত আগস্টে কুমিল্লার আট তরুণ হিজরতের নামে আত্মগোপনে চলে যায়। তখন তাদের খুঁজতে গিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার খোঁজ পায় র্যাব। এরপর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ অক্টোবর বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে ওই জঙ্গি সংগঠনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি মানিককে গ্রেফতার করা হয়। মূলত তার তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনের ৪৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।’ খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘তারা কেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এলো, তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যোগসূত্র কি? তা খুঁজে বের করবে র্যাব। একইসঙ্গে তাদের সংগঠনে কারা কারা রয়েছে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।’