
পুরো পৃথিবীজুড়ে প্রতি ৩ জনে ২ জন শিশু রোগা (কৃশকায়) বলে উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফের প্রতিবেদনে। দক্ষিণ এশিয়া কৃশকায়তার 'কেন্দ্র' হিসেবে উল্লেখ করে ইউনিসেফ জানিয়েছে, এখানে প্রতি ২২ জনের মধ্যে প্রায় ১ জন শিশু রোগা (কৃশকায়), যা সাব-সাহারা আফ্রিকার তুলনায় তিন গুণ। আফগানিস্তানে ১১ লাখ শিশু চলতি বছর কৃশকায়তার শিকার হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা ২০১৮ সালের প্রায় দ্বিগুণ। ইউনিসেফের 'কৃশকায় অবস্থা: শিশুদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে একটি উপেক্ষিত জরুরি অবস্থা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সী অন্তত ১ কোটি ৩৬ লাখ শিশু কৃশকায় অবস্থার শিকার, যার কারণে এই বয়সী শিশুদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন মারা যায়। ইউনিসেফ বলছে, কৃশকায় শিশুরা তাদের উচ্চতার তুলনায় খুব বেশি শীর্ণ হয়ে থাকে, যার ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। এটি অপুষ্টির সবচেয়ে তাৎক্ষণিক, দৃশ্যমান ও মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে পরিচিত তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবহারযোগ্য থেরাপিউটিক খাদ্য (আরইউটিএফ) পায় না। প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কৃশকায় শিশুদের চিকিৎসায় প্রাপ্ত সহায়তা অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে রয়ে গেছে; যা আগামী বছরগুলোতে আরও কমবে বলে ধারণা করা হয়। ২০২৮ সালের আগে প্রাক-মহামারি পর্যায়ে পুনরুদ্ধারের আশাও খুব ক্ষীণ।