জাতীয়
ঢাকার অর্ধেক বাড়িতেই এডিসের লার্ভা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকার শহরের প্রায় ৫০ ভাগ বাসাবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। তার পরও ঢাকায় স্থিতিশীল আছে ডেঙ্গু সংক্রমণ। তবে রাজধানীর বাইরে বেড়েছে সংক্রমণ।

ছবি: সংগৃহীত
জরিপে এমন অবস্থা পাওয়া গেছে বলে জানায় সংস্থাটি। গত ১০ দিন ধরে রাজধানীতে এডিস মশার বর্ষাকালীন জরিপ চালাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই জরিপের অংশ হিসেবে গুলশান-বনানীর বিভিন্ন বাসাবাড়িতে নমুনা সংগ্রহ করছে অধিদপ্তর। তাতে দেখা যায়, এসব বিভিন্ন বাসাবাড়ির নমুনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। ডেঙ্গুর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ জুন মাস থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর মে মাস থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাহলে হয়তো রক্ষা পাব, না হলে ডেঙ্গু এবার মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইমেরিটাস অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, শক সিন্ড্রোমের কারণে বেশি মানুষ মারা যেতে পারে। তাই অবহেলা না করে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্রই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানা উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না।
সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন। এদিকে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৮০৮ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৭ জন। মারা গেছেন ৫৯৩ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ৪৩৮ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরের ১৫৫ জন।