অর্থনীতি
চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়
আবারও দামের চাপে দিন দিন তেতো হচ্ছে মিষ্টি চিনির স্বাদ। সরকার নির্ধারিত দাম ১৩০ টাকা হলেও খুচরায় এই পণ্যের দাম ঠেকেছে ১৫০ টাকায়। এদিকে দাম বাড়ানোর আভাস দিয়েই কোম্পানিগুলো ভোজ্যতেলের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বলে দাবি ডিলার-পাইকারদের।

নিত্যপণ্যের মতোই বাজারে ভোক্তাদের জিম্মিদশা এখন নিত্যসঙ্গী। কারণ, আবারও লাগামহীন চিনির বাজার, অন্যদিকে পেঁয়াজ ঠেকেছে ১৩০ টাকায়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মাসিক প্রতিবেদন বলছে, সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়ে ২০১০ সালের নভেম্বরের পর সর্বোচ্চে উঠেছে। পরে অক্টোবরে দাম কমেছে ঠিকই, তবে তা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।
এদিকে বৈশ্বিক অস্থিরতার ইঙ্গিতে চলতি মাসের শুরুতে অপরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে করা হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা আর পরিশোধিত চিনির শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে করা হয় ৩ হাজার টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের চেষ্টা যখন দাম কমিয়ে ভোক্তাকে স্বস্তি দেয়া, তখন বাজার চলছে ঠিক উল্টো পথে।
অন্যদিকে ডলার সংকটে ভোজ্যতেলের বাজার আবারও অস্থির। এফএওর হিসাবে, এক বছর আগের তুলনায় বিশ্ববাজারে তেলের দর কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ডলার কনভার্সন রেট বাড়িয়ে নিচ্ছে এমন দাবিতে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম বাড়ানোর জন্য ৯ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছেন আমদানিকারক ও প্রস্তুতকারকরা।