ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: ঝিনাইদহের আক্তারুজ্জামান বললেন, আল্লাহ বাঁচাইছেন
জাতীয়
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: ঝিনাইদহের আক্তারুজ্জামান বললেন, আল্লাহ বাঁচাইছেন
‘তখন হয়তো সন্ধ্যা ৭ টা বাজবে। হঠাৎ সামনের তিনটা বগি থেকে বিকট শব্দ শুনলাম। বুঝলাম দুর্ঘটনা ঘটেছে। বগির বাইরে গিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম। কিন্তু দেখতে পেলাম না। শুধু চিৎকার আর চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পেলাম। কাছে গিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম, তাও পারলাম না। পরে দেখলাম মানুষ শুধু ছোটাছুটি করছে। কেউ নিহত ব্যক্তিকে নিয়ে ছুটছে ,আবার কেউ ছুটছে আহতদের নিয়ে। খুব ভয় পেলাম। আল্লাহই আমাদের বাঁচাইছেন।’ 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
এভাবেই ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকার শিক্ষক আক্তারুজ্জামান। তিনি মহেশপুর সরকারি পদ্মপুকুর শেখ হাসিনা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। তিনি ও তার স্ত্রী দুর্ঘটনাকবলিত করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ বনশ্রী এক্সপ্রেসে তাদের তুলে দিয়েছে। তারা এখন ভেলরে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে অনেক বাংলাদেশি যাত্রীও আছেন।
আক্তারুজ্জামান জানান, তার স্ত্রী নূরজাহানের চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছেন। পহেলা জুন ভারতে যান। এরপর ট্রেনের টিকিট নিয়ে শুক্রবার (০৩ মে) দুপুরে হাওড়ার শালিমার স্টেশনে হাজির হন। বেলা ৩টা ২০ মিনিটে তাদের নির্ধারিত করমন্ডল ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা যখন ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় পৌঁছান, তখন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে। তারা বিকট শব্দ ও ঝাঁকুনি অনুভব করেন। ট্রেনের মধ্যে থাকা হাজার হাজার মানুষ কান্নাকাটি শুরু করেন। তারাও বুঝে নেন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়েছে।
আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী নূরজাহান বলেন, আমরা এসি বগিতে যাচ্ছিলাম। এসি বগি তিনটা পেছনে ছিল। আমাদের সঙ্গে যশোর ও ঢাকার কয়েকজন যাত্রী ছিল। তাদেরও আমাদের সঙ্গে অন্য ট্রেনে তুলে দেয়া হয়েছে। যেহেতু রাত হয়ে গিয়েছিল তাই বাংলাদেশিদের আর কোন তথ্য আমরা জানি না।

জাতীয়ভারত
আরো পড়ুন