ধর্ম
পবিত্র রমজানে মেনে চলতে হবে যে ৯ বিষয়
অন্যান্য মাসের মধ্যে রমজান হচ্ছে শ্রেষ্ঠ। এ মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে বলে মাসটি অধিক সম্মানিত। রমজান একটি মহিমান্বিত মাস। সুতরাং এই মহিমান্বিত মাসের সময়গুলো কীভাবে ব্যয় করবো- এটা নিয়ে আমাদের একটি সুন্দর পরিকল্পনা থাকা দরকার। সেই সঙ্গে দরকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দৃঢ় থাকা।

ছবি: সংগৃহীত
- বিশেষ কোনো সফর বা বড় ধরনের কাজ থাকলে রমজানের পূর্বেই সেরে ফেলুন। পবিত্র রমজান মাসের প্রস্তুতির জন্য শাবান মাসে কিছু রোজা রাখুন এবং রমজানের আগমনে খুশি হোন।
- রমজানের মাসয়ালা-মাসায়েল জানা। এক্ষেত্রে বিজ্ঞ কোনো আলেমের কাছ থেকে কিংবা ফিকহি (ইসলামের বিধান সম্বলিত) কিতাবাদীর সহায়তা নিতে পারেন। চোখ রাখতে পারেন বাংলানিউজেও।
- পুরুষের জন্য জামাতে আর মহিলার জন্য প্রথম ওয়াক্তে বাসায় নামাজ আদায়ে সচেষ্ট হওয়া। সেই সঙ্গে নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ে মনোযোগী হওয়া।
- একনিষ্ঠভাবে ও বিনয়ী হয়ে তওবা করা। হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা এবং ক্ষমা প্রার্থনা কর। আমি দৈনিক একশ’ বার তওবা করি। ’ –সহিহ মুসলিম
- রমজানে কোরআন-হাদিসে উল্লেখিত জিকির ও দোয়াসমূহ বেশি বেশি পাঠ করুন। প্রতিদিন নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত ও তাফসির অধ্যয়ন করুন। কোরআন তেলাওয়াত না জানলে সহিহ-শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত শিখুন।
- আল্লাহতায়ালা কাছে বেশি বেশি দোয়া করুন ও রমজানের হক আদায়ের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করুন।
- রমজানে ইতিকাফ করতে চাইলে সেই প্রস্তুতিও নিন। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনীয় কাজগুলো আগেই সেরে ফেলুন।
- ওমরা পালনের সামর্থ্য থাকলে আদায়ের প্রস্তুতি নিন। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজান মাসে উমরা আদায় করায় হজের সমান বা আমার সঙ্গে হজ আদায় করার সওয়াব পাওয়া যায়। -সহিহ মুসলিম
- কবিরা গোনাহ ও অহেতুক কাজ থেকে বিরত থাকার প্রাকটিস শুরু করুন। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘(রোজা থেকেও) কেউ যদি মিথ্যা কথা বলা ও তদনুযায়ী কাজ করা পরিত্যাগ না করে, তবে তার শুধু খাদ্য ও পানীয় পরিত্যাগ করায় (রোজা রাখায়) আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। ’ –সহিহ বোখারি