সারাদেশ
একদিনে পাগলা কুকুরের কামুড়ে হাসপাতালে ২৭ জন
জামালপুর পৌরসভার পশ্চিম ফুলবাড়িয়া, জিগাতলা এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে পাগলা কুকুরের আক্রমণ ও কামড়ে ২৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ রয়েছে। আজ রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

ছবি: সংগৃহীত
আহতরা সবাই ২৫০ শয্যা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে। একই দিনে এত মানুষকে কুকুরে কামড়ানোর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালে সরবরাহ না থাকায় কুকুরের কামড়ে আহত রোগীদের বাইরে থেকে একটি ভ্যাকসিন কিনতে হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহতদের মধ্যে জামালপুর শহরের পশ্চিম ফুলবাড়িয়া ও জিগাতলা এলাকায় একটি পাগলা কুকুরের কামড়েই শিশু, তরুণ, যুবক ও বয়স্ক আট ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে। বাকিরা জামালপুর পৌরসভার কাছারীপাড়া, গেইটপাড়, লাঙ্গলজোড়া, শাহপুর, বন্দেরবাড়ি, ছনকান্দা ও পাথালিয়া, সদর উপজেলার নরুন্দি, শরিফপুর, নান্দিনা ও তুলসীপুর এবং মেলান্দহ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছে।
আহতদের কারো পায়ে, ঊরুতে, হাতে, পেটে, মুখে, আঙুলে, গলায়সহ বিভিন্ন স্থানে কামড় দিয়েছে কুকুর। কুকুরের আক্রমণ ও কামড়ে আহতরা সবাই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েও বিড়ম্বনার শিকার হয়েছে। কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের দুটি ভ্যাকসিনের মধ্যে একটি ভ্যাকসিনের সরবরাহ নেই দীর্ঘদিন ধরে। র্যাভিক্স ভিসি নামের সেই ভ্যাকসিনটি বাইরে থেকে কিনতে লাগে প্রতি ভায়াল ৪৫০ টাকা করে। অন্য ভ্যাকসিনটি হলো ইম্যুনোগ্লোবিওলিন। এটি একটি দামি ভ্যাকসিন। এর প্রতিটি ভায়ালের দাম এক হাজার ৫০ টাকা। ফলে রবিবার কুকুরের কামড়ে আহতদের প্রত্যেককেই একটি করে ভ্যাকসিন বাইরে থেকে কিনে এনে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।