আন্তর্জাতিক
দু’হাত পায়ে ভর দিয়ে চলাফেরা করে পরিবারের সবাই
দুই হাত এবং দুই পায়ে ভর দিয়ে অনেকটা ভালুকের মতো চলাফেরা করেন তুরস্কে একটি পরিবারের সদস্যদের সবাই। যা বিজ্ঞানীদের বিস্মিত করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তুরস্কে এমন একটি পরিবার রয়েছে, যারা বিবর্তনবাদের সূত্র না মেনে এখনও দুই হাত এবং দুই পায়ে ভর দিয়ে অনেকটা ভালুকের মতোই চলাফেরা করে।

ছবি: সংগৃহীত
২০০৬ সালে বিবিসির তৈরি একটি তথ্যচিত্রে প্রথমবার সেই ‘উলাস পরিবার’কে সভ্য মানুষের গোচরে নিয়ে আসা হয়। পরিবারটি সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে। ‘লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস’-এর বিবর্তনবিষয়ক মোনোবিদ নিকোলাস হামফ্রে প্রথম লক্ষ্য করেন, উলাস পরিবারে জন্ম নেওয়া ১৮ শিশুর মধ্যে ছয়জনেরই জন্মগত ‘ত্রুটি’ রয়েছে। সেই ত্রুটি নিয়ে জন্মানো শিশুদের মধ্যে দু’পায়ে হেঁটে চলার কোনো বৈশিষ্ট্যই নেই। তিনি বলেন, কল্পনার জগৎ যতই বড় হোক না কেন, আমরা কোনো দিনই এমনটা ভাবতে পারি না যে, মানুষ পশুর মতো আচরণ করবে। তুরস্কে বসবাসকারী বিশেষ এই পরিবারের ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমনই। ৩০ লাখ বছর আগের বিবর্তনবাদ এখানে মিথ্যা হয়ে গেছে।
অনেকে বলেন, এই পরিবারের ক্ষেত্রে ‘ইভলিউশন’ নয়, হয়েছে ‘ডিভলিউশন’। তবে সেই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ নিকোলাস। তাঁর মতে, এই বিশেষ পরিস্থিতিটিকে ‘ডিভলিউশন’ বলে ব্যাখ্যা করার কোনো মানেই হয় না। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে তা একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়। তার প্রমাণও রয়েছে। নিকোলাস বলেন, ত্রুটি নিয়ে জন্মানো শিশুদের মস্তিষ্কের স্ক্যান করে দেখা গেছে, তাদের প্রত্যেকেরই সেরিবেলামের মাঝের অংশটি বেশ সংকুচিত। কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট ওই অংশটি নেই। সেখান থেকেও এই সমস্যা হতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি।