সারাদেশে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন ৬ জন
সারাদেশ
সারাদেশে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন ৬ জন
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়ায় বজ্রপাতে ৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গতকাল রোববার (২১ মে) তাদের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলো- হরিপুর গ্রামের সাহাজুল মিয়ার ছেলে পলাশ মিয়া (১৬) এবং শান্তিপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে তোয়াছিন আহমদ (১৭)। জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী বলেন, রোববার (২১ মে) বিকেলে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের হরিপুর ও শান্তিপুর গ্রামের মাঝামাঝি একটি ক্ষেতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বোরো ধানের মাঠে এলাকার কিশোর-তরুণরা ফুটবল খেলছিল। এ সময় বজ্রপাতে দু’জন মারা যায়। ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর বলেন, বজ্রপাতে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও ত্রিশাল উপজেলায় বজ্রপাতে দুই শিশু ও কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে দুই শিশু। নিহতরা হলো তল্লী গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে আসিফ (১৫) ও ত্রিশালের কানিহরি ইউনিয়নের কোটপাড়া গ্রামের আবুল ফরাজীর ছোট ছেলে জুনায়েদ (৯)। নিগুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তাজউদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, বাড়ির পাশে বৃষ্টিতে ভিজে খেলাধুলা করার সময় বজ্রপাতে কিশোর আসিফ ঘটনাস্থলে মারা যায়। একই সময়ে ত্রিশালে কোটপাড়া গ্রামে ঝড়ে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই জুনায়েদের মৃত্যু হয়। এতে আহত হয় আরও দুই শিশু। রোববার (২১ মে) সন্ধ্যার দিকে গফরগাঁওয়ের নিগুয়ারি তল্রী গ্রামে এবং ত্রিশালের কানিহরি কোটপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জামালপুর
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক। সোমবার (২২ মে) মাদারগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার (২১ মে) বিকেলে উপজেলার খরকা বিলের সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৫)। আহত ব্যক্তিরা হলেন, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার হাসেম মিয়ার ছেলে ছেলে ফয়সাল (২০) ও কিশোরগঞ্জের মিঠাইন উপজেলার গজবপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে রুহুল আমিন (৪৭)। স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে জহুরুল ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটছিল। পরে আকস্মিক বজ্রপাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এ সময় শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ ১০০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সারাদেশময়মনসিংহজামালপুরসুনামগঞ্জবজ্রপাত
আরো পড়ুন