মোহাম্মদ (স.) কোন খাবার দিয়ে ইফতার করতেন?
ধর্ম
মোহাম্মদ (স.) কোন খাবার দিয়ে ইফতার করতেন?
হাদিসে বলা হয়েছে, ‘রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দঘন মুহূর্ত রয়েছে। একটি হলো ইফতারের সময় এবং অন্যটি হলো (কেয়ামতের দিবসে) নিজ প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।’ (বুখারি: ৭৪৯২; মুসলিম: ১১৫১; তিরমিজি: ৭৬৬), স্বাভাবিকতই ইফতারে খেজুর অত্যন্ত উপযোগী উপকরণ। এটি শর্করা ও পুষ্টি উপাদানের উৎস হিসেবে কাজ করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এটি প্রিয়নবী (স.)-এর সুন্নত।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, শুধু পানি দিয়ে ইফতার করলেও ইফতার আদায় হবে এবং রোজার সওয়াব থেকে কিছুই কমতি করা হবে না। সালমান ইবনে আমির (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয় পানি পবিত্র‘। (আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও দারেমি; আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬২, পৃষ্ঠা: ১৩১-১৩২) 
অন্য হাদিসে নবী করিম (স.) বলেছেন, ‘দ্বীন ততদিন পর্যন্ত ঠিক থাকবে, যতদিন পর্যন্ত মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে। কেননা, ইহুদি-খ্রিস্টানরা বিলম্বে ইফতার করে’ (আবু দাউদ: ২৩৫৫) উল্লেখিত বর্ণনাসমূহ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে, সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেজুর বা পানি খেয়ে অথবা যতটুকু ইফতার করলে তাৎক্ষণিক ক্ষুধা নিবারণ হয়, তা খেয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেওয়া উত্তম। নামাজ থেকে ফিরে এসে চাহিদামত আরো ইফতার নেওয়া যায়। তবে, ইবাদতে আলস্য বা অসুবিধা হতে পারে—অত বেশি খাওয়া জরুরি নয়।
ইফতারের আগে গুনাহ ক্ষমার এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া দরকার— يَا وَا سِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْلِىْ উচ্চারণ: ‘ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি, ইগফিরলী’ অর্থ: হে মহান ক্ষমা দানকারী! আমাকে ক্ষমা করুন। (শু‘আবুল ঈমান: ৩/৪০৭), অতঃপর ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিল্লাহ’ বলে ইফতার শুরু করবে।  অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রোজা রেখেছি, এবং তোমারই দেয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করলাম। (আবু দাউদ: ১/৩২২)
ধর্মইসলামরমজান
আরো পড়ুন