কমপ্লেক্সটির মধ্যে মূল সংসদ ভবনের সাথে অন্যান্য ভবনের সাথে রয়েছে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও সচিবদের হোস্টেল, অতিথি ভবন ও কমিউনিটি বিল্ডিং। প্রাথমিক নকশায় অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট, প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও মসজিদ অন্তর্ভুক্ত থাকলেও এক্ষেত্রে মূল ভবনের আকর্ষণ যাতে না কমে যায় সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। এতে এসব ভবনকে সরিয়ে সংসদ ভবন এলাকা থেকে দূরে নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত হয়।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নির্মাণাধীন প্রধান অবকাঠামোটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সরকার ভবনের মূল নকশায় কোনো রকম পরিবর্তন না এনে ফের নির্মাণকাজ শুরু করে। শুরুতে কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১৫ মিলিয়ন ডলার কিন্তু ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি যখন নির্মাণকাজ শেষ হয়, তখন সেই ব্যয় গিয়ে দাঁড়ায় ৩২ মিলিয়ন ডলারে। প্রতি বছর পুরো কমপ্লেক্সের রক্ষণাবেক্ষণে খরচ হয় পাঁচ কোটি টাকা।
নবনির্মিত সংসদ ভবনে সংসদের অধিবেশন শুরু হয় ১৯৮২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। সংসদ ভবনকে আধুনিকীরণে সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা হয়েছে মূল নকশার কপি। লুই কানের নকশা অনুযায়ী সংসদ ভবন এলাকাকে সাজানোর লক্ষ্যে ২৩৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর আওতায় ভবনের ভেতর আধুনিকীকরণ ও বৈদ্যুতিক কাজও করা হবে। এ ছাড়া গণপূর্ত কর্মচারী ও সংসদ ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য মনিপুরীপাড়ায় খেজুরবাগানসংলগ্ন এলাকায় ৯ তলার দুটি ভবন নির্মাণ করা হবে। জাতীয় সংসদ ভবন বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক দৃষ্টান্ত স্হাপনকারী নিদর্শন হয়ে থাকুক।