শিক্ষা
সুপারিশপ্রাপ্ত ২৮ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষক নিয়োগ কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএর ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবারে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেনে, সুপারিশপ্রাপ্ত ২৮ হাজার শিক্ষককে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।

ছবি: সংগৃহীত
শনিবার দুপুরে হাটহাজারীতে উপজেলার ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মুঈনীয়া কামিল (এমএ) মাদ্রাসায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী সব শহিদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের ভূমিকা ও শিক্ষকদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জাতীয়করণকৃত স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়গুলো কাজ করছে। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়াটি নির্বাচনের আগে সম্পন্ন করা হবে। পাশাপাশি অসুপারিশপ্রাপ্তদের কাম্য যোগ্যতা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে তাদেরও জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে।
দীপু মনি বলেন, এ দেশে ইসলামের নাম ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি ও মানুষ হত্যা করা হয়েছিল। অথচ পবিত্র ইসলামে নরহত্যাকে পাপ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবুও একটি গোষ্ঠী সত্যকে গোপন করে মিথ্যাকে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর ধর্মের নামে অপব্যবহার করে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, নিপীড়ন ও নির্যাতন চালিয়ে দেশের শান্তি ও উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করে নানা রকম দাঙ্গা-ফ্যাসাদ তৈরি করছে। তারা কখনো ইসলামের বন্ধু হতে পারে না। যারা ইসলামকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়, যারা এতিমের টাকা মেরে ক্ষমতায় যেতে চায় তাদের আগামীতে ভোট না দিতে আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
দীপু মনি বলেন, বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে ইসলামি শিক্ষাকে উচ্চ শিক্ষায় রূপ দিতে, আরও সম্প্রসারিত এবং আরও বেশি দক্ষ ও যোগ্য জনবল তৈরি করার জন্য ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন। তাছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ২০১৫ সালে পৃথক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর ফলে মাদ্রাসা শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলে সমপর্যায়ে ভুক্ত করেছেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ।