জ্বর হলেই সাথে সাথে যা করার পরামর্শ
স্বাস্থ্য
জ্বর হলেই সাথে সাথে যা করার পরামর্শ
দেশে সাধারণত জুন মাস থেকে ডেঙ্গি জ্বরের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। এবার মে মাসেই সর্বাধিক ডেঙ্গি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় কারো জ্বর হলেই দ্রুত এনএস-১ পরীক্ষা এবং বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞরা বলেন, জ্বর হলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডেঙ্গি আক্রান্তের প্লাটিলেটের প্রয়োজন হয় না। শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত ‘চেঞ্জিং প্যাটার্ন অফ ডেঙ্গি সিনড্রম'’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগ প্রতিরোধে এডিস মশার নিধন, ডেঙ্গি জ্বরের চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণের পরামর্শ দেন। রোগ ও রোগীর অবস্থাভেদে চিকিৎসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের ডেঙ্গি চিকিৎসার জাতীয় নীতিমালার প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম। সেমিনার শেষে কেবিন ব্লকের সাধারণ জরুরি বিভাগে ডেঙ্গি কর্নারের উদ্বোধন করা হয়। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গির প্রথম প্রাদুর্ভাব শুরু হয় ২০০০ সালে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গির সাধারণ উপসর্গ ছিল জ্বর, কাশি, র‌্যাশ হওয়া, মাথা ব্যথা হওয়া। কিন্তু ২০২১ সালের পর এই উপসর্গ পরিবর্তন হয়। তখন ডেঙ্গিতে নতুন উপসর্গ পেটে ব্যথা ও পাতলা পায়খানাসহ অন্যান্য পরিবর্তন হয়। এটি এখনো চলমান রয়েছে।

সেমিনারে জানানো হয়, ২০২২ সালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হন ৬১ হাজার ৭৬৩ জন এবং ২৮১ জন মারা যান। যা অতীতের তুলনায় সর্বাধিক। চলতি বছরের ২ জুন পর্যন্ত আক্রান্ত ১৭৯৩ জন এবং মারা যান ১৩ জন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৫৫৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন ও মে-তে ৭৮৫ জন মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য
আরো পড়ুন