শিক্ষা
সাংবাদিকতা হচ্ছে গণতন্ত্রের স্তম্ভ: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, "সাংবাদিকতা হচ্ছে গণতন্ত্রের স্তম্ভ। সাংবাদিকদের সংবাদের ভিত্তিতে সরকার রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। সাংবাদিকরা আছেন বলেনই সত্য উদঘাটিত হয় আর আমরা ন্যায় বিচার পেতে পারি।"

ছবি: রিদ্মিক নিউজ
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুর দুইটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘তারুণ্যের বোঝাপড়ায় বাংলাদেশের সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ এনামুর রহমান বলেন, "বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।সাংবাদিকতা হচ্ছে গণতন্ত্রের স্তম্ভ। সাংবাদিকদের সংবাদের ভিত্তিতে সরকার রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।" এসময় সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার আহবান জানান তিনি। প্রাধান আলোচকের বক্তব্যে জাফর ওয়াজেদ বলেন, "আমাদের দেশে প্রেসক্লাবে অনেক লোক আছে যারা কলম চালাতে জানে না। আমরা অনেক মিডিয়া তৈরি করেছি কিন্তু সাংবাদিক তৈরি করতে পারিনি। আমরা প্রেস ইন্সটিটিউট নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি কিন্তু সাংবাদিকরা সেভাবে কাজ করে না। "
সাংবাদিকতা হচ্ছে গণতন্ত্রের স্তম্ভ। সাংবাদিকদের সংবাদের ভিত্তিতে সরকার রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। সাংবাদিকরা আছেন বলেনই সত্য উদঘাটিত হয় আর আমরা ন্যায় বিচার পেতে পারি।
তিনি আরো বলেন, " আমাদের দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ রয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকতার মান বাড়েনি৷ আমাদের দেশে এখন অজস্র গণমাধ্যম কিন্তু এমন কোনো রিপোর্টার নেই যার রিপোর্ট পড়ার জন্য পাঠক অপেক্ষায় থাকে। আর বর্তমানে প্রযুক্তির এমন বিকাশ ঘটেছে যে এই সাংবাদিকতা কোথায় গিয়ে দাড়াবে এখনই স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না।" আলোচনা সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জাবিসাস) সভাপতি বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলকামা আজাদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নূরুল আলম, উপ উপাচার্য অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) জাবিসাসের সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। পরে বেলা ১১টায় টিএসসি থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি সপ্তম ছায়া মঞ্চ, জহির রায়হান অডিটোরিয়াম, রসায়ন বিজ্ঞান ভবন হয়ে ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড নুরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজ, জাবিসাস উপদেষ্টা অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, জাবিসাস অ্যালামনাইদের সদস্য ও জাবিসাসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদিকদের সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জাবিসাস) যাত্রা শুরু করে।
রিপোর্টার: মোঃ মুশফিকুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়