জীবনযাপন
সংসার ভাঙার ৪ কারণ, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের খবর খুব বেশি শোনা যায়। সংসার ভেঙে দেওয়ার কাজ নারী-পুরুষ উভয়েই করে। পুরুষও ছলেবলে কৌশলে এবং তীব্র আবেগঘন অনুভূতির ফাঁদে ফেলে অনেক নারীকে করায়ত্ত করে; তারা বিবাহিত হয়েও অন্য নারীতে মজে। এতে পুরুষের কোনো দোষ নেই। দোষটা হলো নারীর। যে নারীর প্রতি পুরুষটি আসক্ত হচ্ছে সেই নারীটি কেন তাকে প্রশ্রয় বা সুযোগ দিল? নারীটি যদি পাত্তা না দিত তাহলে বিরূপ পরিবেশ তৈরি হতো না। এই হলো, অধিকাংশ মানুষের মানসিকতা।

ছবি: সংগৃহীত
পুরুষের স্বভাবই এমন, তারা বিভিন্ন নারীতে গমন করবে, যেভাবেই হোক পছন্দের নারীটিকে বশ করে ফেলবে; এসব পুরুষের জন্য সহিহ্, এতে তাদের কোনো পাপ নেই। বিষয়টা যে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রতিফলন, তা অনেক নারীও বুঝতে পারে না। এই মানসিকতায় যুগ যুগ ধরে দেশ-সমাজ-রাষ্ট্র-পরিবার চলছে।সম্পর্কে জড়ানোটা নারী-পুরুষ দুই পক্ষের সমান সমর্থনে হয়। অস্বাস্থ্যকর সম্পর্কের কারণে এমটা হয়ে থাকে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। মানসিক শান্তির জন্য নারী-পুরুষ উভয়ই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন।
- বিবাহবিচ্ছেদের একটি প্রধান কারণ হচ্ছে বিয়ের পর সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা কমে যাওয়া। একে অপরের প্রতি প্রেমপূর্ণ সম্পর্ক না থাকা। জার্নাল অব সেক্স অ্যান্ড ম্যারিটাল থেরাপির ২০২০ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, দুই হাজর ৩৭১ জনের বিবাহবিচ্ছেদের সমীক্ষায় প্রায় অর্ধেক মানুষ ভালোবাসা এবং ঘনিষ্ঠতার অভাবকে দায়ি করেছেন। একে অপরের প্রতি আবেগ কমে যাওয়া বিবাহবিচ্ছেদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
- প্রতারণা বা বিশ্বাসঘাতকতা বিবাহবিচ্ছেদের খুব সাধারণ একটি কারণ। একটি সম্পর্ক টিকে থাকে বিশ্বাসের ওপর। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ও ভরসা না থাকলে সেই সম্পর্ক শেষ হতে বেশি সময় লাগে না।
- কোন মানুষ নিখুঁত নয়। সবারই কিছু না কিছু দোষ থাকে। এসব আমাদের মেনে নিয়েই তাকে যোগ্য সম্মানটা দিতে হবে। সমস্যা দেখা দেয় যখন আমরা আমাদের সঙ্গীকে অবজ্ঞা করা শুরু করি। অবজ্ঞা, উপহাস এবং অসম্মান সম্পর্কের জন্য খারাপ এবং এটা বিবাহবিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়।
- শারীরিক নির্যাতনের মতো মানসিক নির্যাতনও অসহনীয়। অহেতুক রাগ দেখানো, গালাগালি করা এবং দোষারোপ করা মানসিক নির্যাতনের মধ্যে পড়ে। এই নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বিচ্ছেদের পথে হাটে।