আন্তর্জাতিক
রোববারের ভোটে নির্ধারণ হবে এরদোগানের ভাগ্য
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে রোববার। এ নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে আগামী পাঁচ বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান থাকতে পারবেন কিনা। খবর আলজাজিরার।

ছবি: সংগৃহীত
এর আগে প্রথম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৪ মে। এতে মোট ভোটের ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট পান এরদোগান। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগ্লু পান ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। যেহেতু তাদের কেউ-ই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট পাননি, ফলে এ নির্বাচন রান-অফে গড়ায়। তবে রান-অফ নির্বাচন নিয়ে তুরস্কে তেমন উত্তাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যেমনটি দেখা গিয়েছিল প্রথম দফার নির্বাচনে। যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট শাসন প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো (রান-অফ) ভোট দিতে যাচ্ছেন দেশটির ভোটাররা। দেশটির বেশিরভাগ ভোটার মনে করছেন ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোগানই আবার প্রেসিডেন্ট হবেন।
অথচ ১৪ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন এরদোগান হয়তো এবার হেরে যাবেন। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে কেমালের চেয়ে বেশি ভোট পান তিনি। সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে এরদোগান বলেন, নির্বাচনে আমাকে পরাজিত করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে পশ্চিমা মিডিয়া। তারা নির্লজ্জভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যাচার করেছে। কিন্তু তুরস্কের মানুষ গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমাকেই জয়ী করেছে। আশা করি ২৮ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় দফা অর্থাৎ রান-অফ ভোটেও পশ্চিমাদের গালে চপেটাঘাত করে আমাকেই জয়ী করবে।
এরদোগান বলেন, আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অর্জন করেছি। তুরস্কের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ও সামরিক শক্তির উত্থানে ভীত হয়ে পশ্চিমারা আমাদের পেছনে লেগেছে। এ ছাড়া তুরস্কের কারণেই কাতার, আজারবাইজান ও লিবিয়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি। আমরা এখন শত্রু আর মিত্র খুব পরিষ্কারভাবে চিনতে পারছি। এদিকে সোমবার তুরস্কে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছেন প্রথম দফায় তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রার্থী সিনান ওগান। এই সমর্থনের ফলে আগামী ২৮ মে নির্বাচনে এরদোগানের পক্ষে জয় আরও সহজ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।