কমেছে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, বাড়তে পারে তাপমাত্রা
দু'দিন বৃষ্টিপাতে প্রবণতা বাড়ার পর আবারও কমেছে। অন্যদিকে, তাপমাত্রা বাড়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজ রোববার এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এ অবস্থায় সোমবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। এ সময় পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিমি।
আজও বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখীর আশঙ্কা
চলতি মাসে প্রায় প্রতিদিনই দেশের নানা অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে। গত শুক্র ও শনিবারের মতো আজ রবিবারও (১৮ এপ্রিল) দেশের একাধিক অঞ্চলে কালবৈশাখীর আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। জানা যায়, চলতি মৌসুমের শুরুতেই দেশের ব্যাপক এলাকাজুড়ে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল শনিবার ভোররাত পর্যন্ত। এ সময় দেশের প্রায় ১৯টি অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার ভোর ৬টার আগের ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ও সিলেটে ৩৫ মিলিমিটার করে। ঢাকায় এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৪ মিলিমিটার।
তাপপ্রবাহ কেটেছে, সব বিভাগে ঝড়ের আভাস
প্রায় এক সপ্তাহ পর কাটলো তাপপ্রবাহ। সেইসঙ্গে বাড়ছে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা। আবহাওয়া অধিদফতর আজ শনিবার এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী রোববার (১৮ এপ্রিল) সব বিভাগেই ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে। বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এ অবস্থায় আগামী রোববার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম/দক্ষিণ দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে।
দেশের ৮ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
দেশের আট অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি ও পাঁচ অঞ্চলে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এক পূর্বাভাসের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশের দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
বিকেলের পর থেকে কালবৈশাখীসহ বজ্রবৃষ্টি
আজ বিকেলের পর থেকে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের একাধিক অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৬০ কি.মি. গতিতে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৪টার দিকে আগামী ১২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিকেলের পর থেকে আগামী ১২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. গতিতে একাধিক এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যা কালবৈশাখী ঝড়ে রূপ নিতে পারে।
গরম কমবে
জনজীবনে নাভিশ্বাস তোলা গরম কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। একই সঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি বাড়তে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি। বুধবারই প্রকৃতিতে পা রাখে প্রথম ঋতু গ্রীষ্ম। একই দিনে শুরু হয়েছে রমজান। তীব্র গরম কষ্ট বাড়িয়ে দিচ্ছে রোজাদারদের। তবে, আজ সকাল থেকেই ঢাকার আকাশে কিছুটা মেঘ দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে ঢাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। এ সময়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর। সর্বশেষ বুধবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশে ৪৫-৬০ কিমি বেগে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখীর পূর্বাভাস
দেশের তিন বিভাগ ও দুই জেলার একাধিক স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার থাকতে পারে। একইসাথে রয়েছে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা। এছাড়া কিছু এলাকায় বয়ে যাওয়া দাবদাহ অব্যাহত থাকবে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও ঝড়ের পরিমাণ বাড়তে পারে। তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলাসহ ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশে আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
দেশে আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।রাজশাহীতে আজ ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ। এর আগে এ মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৬ মার্চ সীতাকুণ্ডে ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের বিষয়ে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, ঈশ্বরদী, রাঙ্গামাটি, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও পটুয়াখালী অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকতে পারে। সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী ২ দিনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরের ৫ দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি বৃদ্ধি পেতে পারে।
তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দেশের নয়টি অঞ্চল ও এক বিভাগের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টি ও মেঘলা আবহের কারণে কয়েকদিন তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও ফের তাপমাত্রা বেড়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, দিনাজপুর ও খেপুপাড়া অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকতে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই, শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা
চলছে চৈত্র মাস। মাসটি যতই সামনের দিকে এগোচ্ছে থার্মোমিটারের পারদ ততই ঊর্ধ্বমুখী। তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ রোববার আবহাওয়া অধিদফতর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান কররছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এ অবস্থায় সোমবার (১২ এপ্রিল) কুমিল্লা অঞ্চলসহ সিলেট, ঢাকা, রাজশাহী এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপমাত্রা আরও বাড়বে
রাজশাহী অঞ্চলে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনের বেলায় দাবদাহের এলাকা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও আছে। রোববার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ঢাকায় কোথাও কোথাও মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বরং দেশের অধিকাংশ স্থানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে
মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এই অবস্থায় রবিবার (১১ এপ্রিল) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে এক পূর্বাভাসে এমনটি জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা পশ্চিম দিক থেকে ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিমি। এবার চৈত্রের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ইতোমধ্যে দুই দফায় প্রায় ১৫ দিনের মতো তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে।
ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব অঞ্চলে বয়ে যেতে পারে কালবৈশাখী। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এই লঘুচাপের প্রভাবে রাঙামাটি ও কুমিল্লা অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, সিলেট, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে রাজারহাটে ১৯ মিলিমিটার। এছাড়া টাঙ্গাইলে ৩, নিকলিতে ১২, ময়মনসিংহে ১৫, নেত্রকোনায় ৫, সিলেটে ২, শ্রীমঙ্গলে ১৩, রাজশাহীতে ২, বগুড়ায় ৪, বদলগাছিতে ৫, দিনাজপুরে ৭, তেঁতুলিয়ায় ১ ও ডিমলায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রংপুরেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রার বাড়ার আভাস
কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টির পর আগামী সপ্তাহের আবারও তাপমাত্রা বাড়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাতে এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া এ আভাস দিয়েছে সংস্থাটি। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। এই অবস্থায় শুক্রবার (৯ এপ্রিল) কুমিল্লা, কুষ্টিয়া ও যশাের অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানতঃ শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার।
অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি
হঠাৎ ঝড় ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দূর থেকে ধান গাছগুলোকে স্বাভাবিক মনে হলেও ছড়ায় থাকা ধানগুলো চিটে হয়ে গেছে। বাতাসের তোড়ে কিছু কিছু ক্ষেতের ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। গত রোববার (৪ এপ্রিল) রাতে হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে কৃষকদের ক্ষেতের ধানের এই ক্ষতি হয়। ফলন্ত ধানের এমন ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। করোনা পরিস্থিতিতে ধার দেনা করা টাকায় উৎপাদিত ফসলের এমন ক্ষতিতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক। কৃষি বিভাগ বলছে, ফের বড় ধরনের ঝড় বৃষ্টি ও অতিরিক্ত তাপমাত্রা না হলে কৃষকরা অনেকটাই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বোরো মৌসুমে বাগেরহাট জেলার নয়টি উপজেলায় ৫৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ঝড়ো বাতাসে এবং হিট স্ট্রেজের ফলে বাগেরহাটের নয়টি উপজেলায় ৪৪২ দশমিক ৬ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।