রোহিঙ্গা যুবকের পেটে মিললো ৩৯ প্যাকেট ইয়াবা
কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের জাকির হোসেন (২২) নামের এক রোহিঙ্গা যুবকের পেট থেকে ৩৯টি পোটলায় ১৯৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে ওই রোহিঙ্গা যুবকের পেটে সিজারিয়ান অপারেশন করে ওই ইয়াবা পাওয়া যায়। সে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২ এবং এক নম্বর ব্লকের শরণার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াছের ছেলে। জানা যায়, ওই রোহিঙ্গা যুবক পেটে ব্যথা অনুভব করার পর তাকে চকরিয়ার মালুমঘাম মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় আলট্রাসনোগ্রাফসহ বিভিন্ন পরীক্ষার পর সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পেটের ভেতর থেকে একে একে বের করা হয় ইয়াবাভর্তি ৩৯টি পোটলা। পরে সেসব পোটলা খুলে পাওয়া যায় ১৯৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
ফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর একটি ক্যাম্পে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বালুখালী ৯নং ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি ঘর,দোকান ও মাদরাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বাধা প্রদান ও হামলার চেষ্টা চালিয়েছে একদল রোহিঙ্গা। ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা জানান, সোমবারের অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের ৮-১০টি ঘর, দোকান, একটি মাদ্রাসা ও একটি এনজিও অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় বলে জানা গেছে। উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ মো. এমদাদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে না পৌঁছাতে পারলে আগুনের তীব্রতা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা ছিল বলে তিনি জানান।
রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের নয়: জন কেরি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের নয়, এই দায়িত্ব জাতিসংঘেরও। সবারই এই ইস্যুতে ভূমিকা নিতে হবে।’ আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন জন কেরি। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে জন কেরি বলেন, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি খুব সদয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ।
ভাসানচরে কেমন আছেন রোহিঙ্গারা, দেখে এলেন বিদেশি ১০ দূত
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর দ্বীপে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রথমবারের মত দেখে এসেছেন ১০ দেশ ও জোটের ঢাকা মিশন প্রধানরা। স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করার অংশ হিসাবে শনিবার এই পরিদর্শনের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাসানচরে সরকারের নেওয়া ব্যাপক উন্নয়ন ও মানবিক কার্যক্রম কূটনীতিকদের দেখানো ছিল এই পরিদর্শনের উদ্দেশ্য। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে একলাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ ভাসানচর যাচ্ছেন ১০ রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের ১০ রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর পরিদর্শনে যাচ্ছেন। আজ শনিবার তাঁরা স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে সেখানে যাচ্ছেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশন। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, জাপান, নেদারল্যান্ডস ও কানাডার মিশনপ্রধানরা বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ভাসানচর পরিদর্শনে যাবেন। সফরে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা পর্যবেক্ষণ করবেন তাঁরা। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রাখতে আগ্রহী তাঁরা। এই রাষ্ট্রগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল জোগান দেয়। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা ও সেবা সরেজমিনে দেখবেন এসব রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার। এ ছাড়া সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাঁদের কথা বলারও সুযোগ তৈরি হবে।
ভাসানচর পরিদর্শনে যাচ্ছেন ১০ রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার
রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে আগামীকাল শনিবার (৩ এপ্রিল) নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর পরিদর্শনে যাচ্ছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের ১০ রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশন। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, জাপান, নেদারল্যান্ড ও কানাডার মিশন প্রধানরা বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ভাসানচর পরিদর্শনে যাবেন। সফরে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। একইসঙ্গে এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রাখতে আগ্রহী তারা। এই রাষ্ট্রগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল যোগান দেয়। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা ও সেবা সরেজমিনে দেখবেন তারা। এ ছাড়া সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের কথা বলারও সুযোগ তৈরি হবে।
ভাসানচরে পৌঁছেছে আরো ২১৪৭ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ষষ্ঠ ধাপের দ্বিতীয় পর্বে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে আরো ২ হাজার ১৪৭ জন রোহিঙ্গা। এর মধ্যে ৫৪৭ জন পুরুষ ও ৬৩০ জন নারী এবং ৯৭০ জন শিশু রয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ছয়টি জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে রওয়ানা হয়ে তারা ভাসানচরে পৌঁছান। এ সময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ভাসানচরে আসার পর পরই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা। পরে ষষ্ঠ ধাপের দ্বিতীয় অংশে আসা রোহিঙ্গাদের দলটিকে নিয়ে যাওয়া হয় ওয়্যারহাউসে। সেখানে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ধারণা দেয়। ওয়্যারহাউসে তাদেরকে দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়। ভাসানচর থানার ওসি মো. মাহে আলম জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষা শেষে গাড়িযোগে ওয়্যারহাউসে সমবেত করে ব্রিফ দেওয়া হয়। পরে ভাসানচরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।
রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ টন মেডিক্যাল সামগ্রী নিয়ে ঢাকায় তুর্কি বিমান
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ২২ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হাসপাতাল পুর্নির্মাণের জন্য ১৩ জন স্বেচ্ছাসেবী, ২০ টন মেডিক্যাল সামগ্রী পাঠিয়েছে তুরস্ক। এসব সামগ্রী নিয়ে তুর্কি একটি সামরিক কার্গো বিমান হজরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে উড়োজাহাজটি অবতরণ করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হজরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান গণমাধ্যমকে জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য ১৩ জন স্বেচ্ছাসেবী, ২০ টন মেডিসিন ও মেডিক্যাল সামগ্রী নিয়ে তুরস্ক বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ এসেছে।
৬ষ্ঠ ধাপে ভাসানচর পৌঁছেছে ২১২৮ রোহিঙ্গা
৬ষ্ঠ ধাপে প্রথম পর্বে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে আরো ২ হাজার ১২৮ জন রোহিঙ্গা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ৬টি জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে রওয়ানা হয়ে তারা ভাসানচরে পৌঁছায়। ৬ষ্ঠ ধাপের প্রথম পর্বে পৌঁছানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫১২ জন পুরুষ, ৬১৩ জন নারী ও ১০০৩ জন শিশু রয়েছে। এ সময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ষষ্ঠ দফায় ভাসানচরের পথে ২৫৫৫ রোহিঙ্গা
ষষ্ঠ দফায় ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকালের মধ্যে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে দুই হাজার ৫৫৫ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ৪৪টি বাসে তিনটি দলে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছে। এর মধ্যে বেলা ১২টায় ১৫টি বাসে ৮৮৪ জন, দুপুর ২টায় ১৫টি বাসে ৮৯০ জন এবং বিকাল ৫টায় ১৪টি বাসে ৭৮১ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, ষষ্ঠ দফায় অন্তত চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচর যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার তাদের বাসে করে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বুধবার আরও অন্তত দুই হাজার জনকে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে তাদেরকে সেখান থেকে জাহাজে করে ভাসানচর নেওয়ার ব্যবস্থা হবে। এর আগে পঞ্চম দফা পর্যন্ত ১৪ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
৬ষ্ঠ ধাপে ভাসানচরে যাচ্ছে আরো ৪ হাজার রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির থেকে ষষ্ঠ দফায় আরো চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে দুই হাজার ৫শ ৫৫ জন রোহিঙ্গাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবারও একই প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের আরো একটি দল ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে। তবে এবার ষষ্ঠ দফায় যারা ভাসানচর যাচ্ছে তাদের মধ্যে প্রায় ১৭০ পরিবার আছে যারা গত ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত।
রোহিঙ্গাদের ভোটার-পাসপোর্ট: পুলিশ কাউন্সিলরসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন, ভোটার তালিকাভুক্তি ও পাসপোর্ট পেতে সহযোগিতার অভিযোগে পুলিশের পাঁচ সদস্য, সাত পৌর কাউন্সিলর, দুজন ইউপি চেয়ারম্যান, দুই ইউপি সচিব ও এক আইনজীবীসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পৃথক ১২টি মামলায় এদের আসামি করা হয়েছে। আসামির খাতায় রয়েছে রোহিঙ্গা, স্থানীয় প্রভাবশালী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নামও। গত ২৫ মার্চ দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ এসব মামলা করা হয়েছে। মামলাগুলোতে অন্তর্ভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি তদন্তে নিয়োজিত সরকারি সংস্থাটি। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পেতে যে সব ডকুমেন্টস দরকার তা জনপ্রতিনিধিরা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সে অনুযায়ী রোহিঙ্গারা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছে। আসামিদের মধ্যে রোববার (২৮ মার্চ) চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের ৫ লাখ ইউরো দেবে ইইউ
রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫ লাখ ইউরো দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কার্যনির্বাহী সংস্থা ইউরোপীয় কমিশন। রোববার (২৮ মার্চ) ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকা কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার জ্যানেন লেনার্সিক বলেছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য পানি, স্যানিটেশন ও আশ্রয়ন খাতে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।’ প্রসঙ্গত, ২২ মার্চ কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ৪৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন ১১ জন।
রোহিঙ্গা শিবিরে ফের অগ্নিকাণ্ড
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২২ নম্বর উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা শিবিরের বি-০৫ ব্লকের একটি বসত ঘরে শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে আগুন ছড়াতে পারেনি, আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) সদস্যদের সহযোগিতায় দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান। ১৭২৭ নম্বর শেডের বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে আসু জামানের (২১) বসত ঘরের চালে আগুন লাগে। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে এপিবিএনের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পোঁছে স্থানীয়দের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহযোগিতা করে। সম্ভবত কেউ আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার সাথে সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হওয়ায় বড় ধরণের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।
দেড়শ’ শিশুসহ ৪০০ রোহিঙ্গা নিখোঁজ!
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৫৫ জন আহত হয়েছেন বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১০ হাজারের মতো ঘর। এ ঘটনায় দেড়শ’ শিশুসহ অন্তত ৪০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হারিয়ে যাওয়া শিশুদের সন্ধানে বালুখালী শিবিরে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের পক্ষ থেকে একটি বুথ বসানো হয়েছে। এ বুথের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা আজ বিকাল পর্যন্ত দেড়শ’ শিশু নিখোঁজ থাকার খবর সংশ্লিষ্ট পরিবারের পক্ষ থেকে পেয়েছি। এরমধ্যে তিন শিশুকে খুঁজে বের করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। মূলত আমরা ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের সন্ধানে কাজ করছি। এতে আমাদের শতাধিক কর্মী কাজ করে যাচ্ছেন।’