সুস্বাদু পাস্তার বিচিত্র ইতিকথা
পাস্তা বিশ্বের অন্যতম সুলভ খাবার। প্রায় প্রতিটি দেশেই এটি জনপ্রিয় যার যার নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি করে। জার্মানি এবং হাঙ্গেরিতে তারা পাস্তাকে তাদের প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করে। গ্রীস, অর্জো পোল্যান্ডে তারা পকেটের মতো পিয়েরোগি পাস্তা উপভোগ করে। আশকানাজি ইহুদি পরিবারগুলি ক্রাইপ্লেচ ডাম্পলিং তৈরি করে। এবং আমেরিকাতে পাস্তা তৈরি করা হয়, যেমন আমেরিকান স্প্যাগেটি এবং মিটবল বাদ দিয়ে ইতালিতে এটি পাওয়া যায় তেমনই পরিবেশিত হয়।
হারিয়ে যাওয়া মসলিনের সুদিন কীভাবে ফিরে এলো?
সতেরো শতকে একটি মসলিন তৈরিতে একজন তাঁতি ও তার সহকারীর ছয় মাস সময়ের প্রয়োজন হতো। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী তাতে নকশা, ফুল কিংবা অন্যান্য অনুষঙ্গ জুড়ে দিতে আরো বেশি সময়ের দরকার ছিল। আভিজাত্যের প্রতীক, বিশেষ করে মোঘল সম্রাট এবং তার পরিবার পরিজনদের বিশেষভাবে সে কাপড় তৈরি করার রেওয়াজ ছিল। একটা সময় বিলুপ্তই হয়ে গিয়ে ছিল সে কাপড়। ১৭০ বছর পর আবার ফিরছে সে কাপড়ের সুদিন।
ব্যারি মিনক্যাও: প্রতারক থেকে বিশ্লেষক!
ব্যারি মিনকাও এরকম একটি কোম্পানী খুলেছিলেন, তিনি এর মাধ্যমে প্রায় ৭০,০০০ মার্কিন ডলার বেহাত করেন বলে দাবী করা হয়। তিনি সেগুলোর সম্পুর্ণ দায়ভার তার কর্মচারীদের উপর চাপিয়ে, যারা টাকা সরিয়েছিলেন তাদের টাকা ফেরত দেন। সেখানে একজন গৃহকর্মীকে কিছু অর্থ কম দেন এবং সেই ভুলের কারণেই পরবর্তীতে তার পর্দা ফাঁস হয়।
ফিলিপ হিউজ: ২২ গজে অপরাজিত এক ক্রিকেটারের জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া গল্প!
টেস্টের দুর্দান্ত সূচনার চার বছর পর ওয়ানডে অভিষেকেও সেই চিরচেনা হিউজকেই দেখে ক্রিকেটবিশ্ব। ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শতক হাঁকিয়ে শুরু করেন তার ওয়ানড ক্রিকেটের পথচলা। এই শতকের ফলে হিউজ হয়ে উঠেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সর্বপ্রথম ব্যাটসম্যান যে কিনা ওয়ানডে অভিষেকে শতক দিয়ে ক্যারিয়ারের সূচনা করেছেন। ২০১২/১৩ মৌসুমে ডোমেস্টিক প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরষ্কার জেতেন এই অজি ব্যাটসম্যান। ২০১৪ সালের জুলাইতে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে 'লিস্ট এ' তে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হিউজ। তার একমাস পর তিনি ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলেন। ছিলেন ২৪৩ রানে অপরাজিত। তবে...
চীন: মাত্র ৪০ বছরে যেভাবে ধনী দেশে পরিণত হয় দেশটি
মাও প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতিমালাও ছিল ভুল ও ত্রুটিপূর্ণ। তার আমলে চীনের সাথে বৈদেশিক বাণিজ্যের তেমন কোনো সম্পর্ক ছিল না অন্যান্য দেশের সাথে। ১৯৭৮ সালে চীনের মসনদে বসেন দেং জিয়াওপিং। সে বছরই রাষ্ট্রীয় সফরে জাপানে যান তিনি। রাষ্ট্রীয় কাজের ফাঁকে অর্থনীতিতে জাপানের এগিয়ে যাওয়া আলাদা করে নজরে আসে তার। জিয়াওপিং চিন্তা করেন যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপান যদি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি সামলে উঠে, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এতখানি এগিয়ে যেতে পারে, চীন কেন পারছে না?
ঐতিহাসিক কিংবদন্তী ‘এল ডোরাডো’ এর কাহিনী
নতুন দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ইত্যাদি সম্পর্কে স্প্যানিশদের কোন ধারণাই ছিল না। তাই স্থানীয়দের কাহিনীর মর্ম বুঝতেও তারা কিছুটা তালগোল পাকিয়ে ফেলে। এর সাথে যোগ হয়েছিল স্বর্ণের প্রতি তাদের সীমাহীন লোভ। তাদের কাছে সোনা তো মহামূল্যবান। ফলে তাদের মধ্যে প্রচার হয়ে গেল আন্দেজের গহীনে এল ডোরাডো বলে এক শহর আছে, পুরো শহরে উপচে পড়ছে সোনা আর সোনা। আদতে দক্ষিণ আমেরিকার যে কিংবদন্তী থেকে স্প্যানিশদের বর্ণিত এল ডোরাডোর উৎপত্তি, তা কোন শহরই নয়, বরঞ্চ আন্দেজের সেই জাতির রাজাকেই এল ডোরাডো বলে অভিহিত করা হয়েছে। ফলে তাদের কিংবদন্তীতে এল ডোরাডো একজন জলজ্যান্ত মানুষ।
জড় বস্তুর সাথেও কি প্রেম সম্ভব?
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় নুরুল মহজবিন হাসান নামের এক তরুণীর খবর বেরোয় ২০১৯ সালে। নিজের টেট্রিস ভিডিও-গেমকে বিয়ে করার জন্য চার্চে এসেছিলেন এই ছাত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন যে বিভিন্ন গ্যাজেটের প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করেন তিনি। বেশ কিছুদিন তিনি নিজের ক্যালকুলেটরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়াও মনোরেল, আইপড ইত্যাদির প্রতি তীব্র আকর্ষণ বোধ করেন তিনি। তার ঘরের চারপাশে ছড়িয়ে থাকে টেট্রিস-আকারের বস্তু।
মৌমাছি: প্রকৃতির এক নিস্বার্থ অভিভাবক
মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ পরাগায়নের মাধ্যমে বিশ্ব জুড়ে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের ফসল উৎপাদনে সরাসরি অবদান রাখছে। প্রকৃতি রক্ষা আর মানুষের খাবার তৈরির এই বিশাল দায়িত্ব মাথায় তুলে নিয়েছে বলেই হয়তো প্রাচীন গ্রিক পুরাণে মৌমাছিকে ‘ইশ্বরের দূত’ এবং মৌ-রসকে ‘অমৃত’ আখ্যা দেয়া হয়েছিল। এভাবেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই মৌমাছি তার উৎপাদিত পণ্যের জন্য সমাদৃত এবং সম্মানিত হয়ে আসছে মানুষের কাছে।
শূন্য রানের যে ইনিংসগুলো বদলে দিয়েছিল জয় পরাজয়ের সমীকরণ!
ঘটনাটি ২০১৯ সালের। ডুরবান টেস্টে দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে ফার্নান্দো ও পেরেরার শেষ উইকেটে ৭৮ রানের জুটি, যেখানে শেষ উইকেটে ব্যাট করতে নামা ফার্নান্দো ২৭ বলে ৬ রান করেন। এই জুটিগুলো ম্যাচ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিল। শেষ উইকেটে ব্যাট করতে নামা লেচ আর ফার্নান্দো নিজেদের ধৈর্য্যের পরিক্ষা দিয়ে জয়ের পথ সুগম করেন। কালে কালে এমন অনেক ম্যাচ সেভিং নকের প্রমাণ রয়েছে।
মঙ্গোল সাম্রাজ্য থেকে মঙ্গোলিয়া: চেঙ্গিস খানের আদি ভূমি
'খান' উপাধি দেখে অনেকেই ভেবে বসেন চেঙ্গিস খান হয়তো মুসলমান ছিল। এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। চেঙ্গিস খান বিশ্বাসী ছিলেন তেংরিবাদে। চেঙ্গিস খানের দ্বারা মুসলিম সাম্রাজের যে ক্ষতি হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে কোন সভ্যতা, কোন সেনাপতি কিংবা কোন যুদ্ধে এত ক্ষতি হয়নি। ইসলামের স্বর্ণযুগে গড়ে ওঠা মুসলিম সাম্রাজ্যকে ভেঙেচুড়ে খান খান করে দেন চেঙ্গিস খান। বাগদাদ শহরে ২ কোটি মুসলমানের লাশ ফেলেছিলেন মঙ্গোলরা, যা পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যা ও নির্মমতা হিসেবে স্বীকৃত। তবে..
ফিরে দেখা: ২০২০ সালে ক্রিকেটে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা!
ব্যাটিংয়ে নেমে মিচেল স্টার্ক আর প্যাট কামিন্সের অগ্নিগোলায় একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। বিরাট ছাড়া আর কেউ অর্ধশত রানের ইনিংস দাঁড় করাতে পারেনি। ভারতের প্রথম ইনিংস থামে ২৪৪ রানে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের এমন অপারগতা দেখে হাস্যরসে ডুবে থাকা অজি প্রেমিরা হয়তো ভাবতে পারেননি অশ্বিন, উমেশ যাদব আর বুমরাহ তাদের দলকে ২০০ রানের গন্ডি পেরুতে দিবে না। ফলস্বরূপ, ৫৩ রান পিছিয়ে থেকে ঘুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এমন আপমান হয়তো বেশ প্রভাব ফেলেছিল অজি বোলারদের অন্তরে।
‘দ্য হোয়াইট উইডো’ সামান্থা লিউথওয়েইট: ইন্টারপোলের নারী মোস্ট ওয়ান্টেড!
জুলাই ৭, ২০০৫ ব্যস্ত লন্ডন এ মানুষ ছুটে চলছিলো বাকি দিনগুলোর মতোই জীবিকার তাগিদে। কিন্তু দিনটা বাকি দিনগুলোর মতো করে শেষ হয়নি। সেদিনই লন্ডন কেঁপে ওঠে চারটি সিরিজ বোমা বিস্ফোরণে, যার মধ্যে তিনটি ছিলো মেট্রোরেলে এবং অন্যটি ছিলো একটি ডাবল ডেকার বাসে। ব্রিটেনের ইতিহাসে সেটিই ছিলো প্রথম কোনো আত্নঘাতি বোমা হামলা, যাতে ১৮টি দেশের ৫২ জন মানুষ প্রাণ হারায় এবং প্রায় ৭০০ মানুষ আহত হয়। সেই আত্নঘাতী চারজনের একজন ছিলেন “জেরামাইন লিন্ডসে” যার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে তিনি সামান্থা লিউথওয়েইট এর স্বামী, যাকে এর পরে থেকেই হোয়াইট উইডো বলে ডাকা হয়। প্রচন্ড বুদ্ধিমতী এবং চালাক এই নারী বোমা হামলার পর পুলিশের কাছে নিজেকে নিরপরাধ ,অসহায় নারী হিসেবে নিজেকে দাবী করে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশ থেকে পালাতে সক্ষম হয়।
ঐতিহাসিক খাবার বিরিয়ানি: কীভাবে এলো আপনার প্লেটে?
একবার মমতাজ যখন সেনাবাহিনীর ব্যারাক পরিদর্শন করছিলেন, তিনি খেয়াল করলেন যে, মোঘল সৈন্যদের বেশ দুর্বল দেখাচ্ছে। স্পষ্টতই এই দুর্বল অবস্থা দেখে মমতাজ এটি সমাধানের জন্য নিজেই এক উদ্যোগ গ্রহণ করলেন। তাঁর নিজস্ব যুক্তি বলছিলো যে সেনারা দুর্বল হলে তো দুর্বল হচ্ছে ভারতের নিরাপত্তাই। তিনি তাঁর কর্তব্য সম্বন্ধে সজ্ঞাত ছিলেন। তাই সৈন্যদের সুষম খাদ্য সরবরাহ করার উদ্দ্যেশ্যে, তিনি সৈন্যশিবিরের বাবুর্চিদের মাংস এবং ভাত দিয়ে বিশেষ এক খাবার পদ প্রস্তুত করতে বলেন, যা বিভিন্ন প্রকার মশলা মিশিয়ে এবং জাফরান ছড়িয়ে দিয়ে কাঠের আগুনে রান্না করা হয়।
এফবিআই’র চোখে বিশ্বের শীর্ষ ১০ সন্ত্রাসী
২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল একটি রেস্তোরাঁর রান্না ঘরে নিজ স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। ওই একই রেস্তোরাঁয় তারা দুইজন চাকরি করতেন। এফবিআই জানায়, একটি বড় ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করে ওই নারীকে খুন করেছেন ভদ্রেশ। এই ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। এতদিন পরে ২০২০ সালে ভদ্রেশকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নিয়ে এসেছে এফবিআই।
ম্যারাথন দৌড়ের ইতিকথা
ম্যারাথনের ময়দান থেকে ২৫ মাইল বা ৪০ কিলোমিটার দূরে এথেন্স শহরে বিজয়ের সংবাদ পৌঁছে দিয়ে এক সেনাকে পাঠানো হয়েছিল। এই ব্যক্তিকেও অনেকে হেরোডেটাসের বর্ণিত ফিডিপ্পাইডকে এই কাজেই পাঠানো হয়েছিল। তিনি সংবাদ পৌঁছে দিয়েই মারা যান। ড্যাটিস এরপর এথেন্সের নিকটবর্তী সৈকতে অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গ্রীকরা আবার দৌড়ে তাকে পরাস্ত করে। পার্সিয়ান জাহাজের আগেই তারা সেখানে পৌঁছে যায়, ফলে কয়েকদিন অচলাবস্থা চলার পর ড্যাটিস সেখান থেকে সরে যান। এথেন্স নিয়ে দারিয়ুসের অভিলাষ সফল হলনা। তবে এই লড়াই বীজ বুনে দিয়ে গেল ভবিষ্যতের এক মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার, ম্যারাথন।