ধর্ম
বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা দিন রোজা রাখার পরে এমন জিনিস খাওয়া উচিত যাতে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায়। এক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা নেই। খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খুবই পুষ্টিকর। খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়।
রমজানে সেহরি ও ইফতারের সময় জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি আগে থেকে ঠিক করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। পুরো রমজান জুড়ে এশার নামাজ বাদে তারাবিহ নামাজ আদায় করবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। আর শেষ রাতে খাবেন সেহরি। এছাড়া সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার করবেন সূর্যাস্তের সময়। তাই সেহরি ও ইফতারের সময় জেনে রাখা জরুরি।
ইসলামি ফিকহ অনুযায়ী, তারাবির নামাজে প্রতি চার রাকাত পর পর কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়ার বিধান রয়েছে। তাই এ নামাজকে তারাবির বা প্রশান্তির নামাজ বলা হয়।
আরবি ১২ মাসের মধ্যে সর্বোত্তম মাস হলো রমজান মাস। এ মাস রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস। এ মাসের ফজিলতও অনেক বেশি। এ মাসে আল্লাহর নির্দেশ পালনে মুসলমানরা সিয়াম (রোজা) পালন করে। সারাদিন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখার পর সন্ধ্যা হলে আবার আল্লাহর নির্দেশই ইফতার করে।
পবিত্র রমজান মাসে কেউ একবারের বেশি ওমরাহ পালন করতে পারবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
মেশাহারাতির শুরুটা বেশ পুরনো, ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী রাসূল (সাঃ) এর সময়ে। সে সময় হযরত বিল্লাল বিন রাবাহ নামে একজন সাহাবী ছিলেন। তিনি ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন (যিনি মসজিদে আজান দেন) হিসেবে অত্যধিক পরিচিত। হযরত বিল্লালকেই প্রথম মেশারাতি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে ঐতিহাসিক বিভিন্ন সূত্রে। তিনি রমাদান মাসে মধ্যরাতে রাস্তা থেকে রাস্তায় হেঁটে হেঁটে মানুষকে ঘুম থেকে জাগাতে ডেকে বেড়াতেন। তবে আরেক সূত্রে এসেছে, ফাতেমীয় খেলাফতের সময়ে মিশরে প্রথম মেশাহারাতি রীতি শুরু হয়।
পবিত্র মাহে রমজান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাস। এই মাসে বর্ষিত হয় রহমতের বারিধারা। যে মাসে রহমত, বরকত ও তাকওয়া অর্জন করতে হবে। এই মাসে কিছু গুণাবলি অর্জনের দীক্ষা নেন মুমিন। যে শিক্ষাগুলো ধারণ করলে জীবন হয় আলোকিত। নিচে তেমনই ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
রমজানে মুমিনরা পুরো মাস রোজা রাখেন। সব ধরনের গুনাহ ও অপরাধ থেকে দূরে থাকেন। শনিবার (২৫ মার্চ) পবিত্র রমজান মাসের দুই তারিখ। রমজানে সেহরি ও ইফতারের সময় জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি আগে থেকে ঠিক করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
হাদিসে বলা হয়েছে, ‘রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দঘন মুহূর্ত রয়েছে। একটি হলো ইফতারের সময় এবং অন্যটি হলো (কেয়ামতের দিবসে) নিজ প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।’ (বুখারি: ৭৪৯২; মুসলিম: ১১৫১; তিরমিজি: ৭৬৬), স্বাভাবিকতই ইফতারে খেজুর অত্যন্ত উপযোগী উপকরণ। এটি শর্করা ও পুষ্টি উপাদানের উৎস হিসেবে কাজ করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এটি প্রিয়নবী (স.)-এর সুন্নত।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২৪ মার্চ) ইফতার হবে ৬টা ১৪ মিনিটে। এ দিন দিবাগত রাত ৪টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত সেহরি খাওয়া যাবে। এটি শুধু ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য। সারাদেশের সময়সূচি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
ইফতারের সময় রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা করতে থাকেন রহমতের দোয়া। সে কারণে ইফতারের রয়েছে বিশেষ বরকত ফজিলত ও পুরস্কার। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বর্ণনায় ওঠে এসেছে সেসব- হজরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মানুষ যতদিন পর্যন্ত তাড়াতাড়ি ইফতার করবে ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে।' (বুখারি, মুসলিম)
অন্যান্য মাসের মধ্যে রমজান হচ্ছে শ্রেষ্ঠ। এ মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে বলে মাসটি অধিক সম্মানিত। রমজান একটি মহিমান্বিত মাস। সুতরাং এই মহিমান্বিত মাসের সময়গুলো কীভাবে ব্যয় করবো- এটা নিয়ে আমাদের একটি সুন্দর পরিকল্পনা থাকা দরকার। সেই সঙ্গে দরকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দৃঢ় থাকা।
সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। রোজা মুসলমানদের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। বলা হয়েছে, ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে রোজা তৃতীয়।
পবিত্র রমজানের একটি আমলের জন্য ৭০ বা তার চেয়েও বেশি নেকি পাওয়া যায় বলে হাদিসে উল্লেখ আছে। সে হিসেবে প্রত্যেক রোজাদারের উচিত বিভিন্ন আমলের মধ্য দিয়ে রমজান কাটানো।