ঘূর্ণিঝড়
ফিলিপাইনে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে শক্তিশালী টাইফুন ডোকসুরি। এতে দেশটিতে ছয়জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ফিলিপাইনে তাণ্ডবের পর শক্তিশালী এই ট্রপিক্যাল ঝড় ধেয়ে গেছে তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে। ফলে তুমুল বর্ষণ ও তীব্র বাতাসের কারণে বৃহস্পতিবার সেখানেও বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আবারও ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বঙ্গোপসাগরে। চলতি মাসের মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় উপকূলবর্তী অঞ্চলে। এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে এর নাম হবে তেজ। নামটি ভারতের দেয়া।
আরব সাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ভারতের গুজরাট রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হেনেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে গুজরাটের ৯৪০ গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে উপড়ে পড়েছে সাড়ে পাঁচ শতাধিক গাছ, বিঘ্নিত হয়েছে ট্রেন পরিষেবাও।
আরব সাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আঘাত হেনেছে ভারতের গুজরাট উপকূলে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় রাজ্যটিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। রাজ্যটিতে পাঁচ শতাধিক গাছ ভেঙে পড়েছে।
প্রবল গতি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দেশ দুটির এক লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরব সাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ গুজরাট এবং পাকিস্তানের মধ্যবর্তী উপকূলে ১৫০ কিমি বেগে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস। ‘বিপর্যয়ে’র জেরে গুজরাটের উপকূল এলাকায় অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গুজরাটগামী ৯৫টি ট্রেন বাতিল হয়েছে বলে জানা গেছে।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে ভারত-পাকিস্তান উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে এবং এ ঘূর্ণিঝড় আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানবে বলে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তান-ভারত উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এটি ‘অতি মারাত্মক’ থেকে দুর্বল হয়ে এখন ফের ‘অতিপ্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।
আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ বর্তমানে অতিপ্রবল ঝড়ে পরিণত হয়েছে। তবে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা এই ঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার ভারতের আবহাওয়া বিভাগের মহাপরিচালক মৃতুঞ্জয় মহাপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন।
আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল। আগামী বৃহস্পতিবার বিকালে ভারতের গুজরাট এবং পাকিস্তানের করাচি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে আবহাওয়া পূর্ভাবাসে রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে জরুরি সভা ডেকেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। এটি আগামী ১৫ জুন পাকিস্তানের কেটি বন্দর এবং ভারতের গুজরাটে আঘাত হানতে পারে।
‘অতি শক্তিশালী’ ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ আরব সাগরে আরও ঘণীভূত হচ্ছে এবং ভারতীয় উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ভারতের গুজরাট, কেরালা ও কর্ণাটক উপকূলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লক্ষদ্বীপ এবং ওই তিন রাজ্যের জেলেদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হয়েছে। খবর: টাইমস অব ইন্ডিয়া’র।
ভারতীয় বুলেটিনে বলা হয়, শনিবার সকাল থেকে পূর্ব-মধ্য আরব সাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে ঘণ্টায় ১৩০-১৪০ কিমি বেগে বাতাস বইবে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ১৫৫ কিমিতে পৌঁছে যেতে পারে। সন্ধ্যায় ঝড়ের দাপট আরও বাড়বে। সেইসময় ঝড়ের বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ১৬৫ কিমি ছুঁয়ে ফেলবে। অধিকাংশ সময় ঘণ্টায় ১৪০-১৫০ কিমি বেগে ঝড় বইবে। আবার উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিমি বেগে ঝড় বইবে। দমকা হাওয়ার বেগ ৮০ কিমি হতে পারে।
জুনের প্রথম দিকেই ভারতের কেরালায় এ বছর দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের কারণে তা বিলম্বিত হচ্ছে। সেই নিম্নচাপ এবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হলে সেটি ‘বিপর্যয়’ নামে পরিচিত হবে।
বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি দেখা যাচ্ছে। আর প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ঘূর্ণিঝড়ের নিশানা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। এই ঘূর্ণিঝড়ে সওয়ার হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বর্ষা ঢুকতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এত তাড়াতাড়ি নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দিতে রাজি নন তারা।