বজ্রপাত
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখন্ডে বজ্রপাতে ২৬টি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের উত্তরকাশি জেলায় বুধবার (২৪ মে) এ ঘটনা ঘটেছে।
কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে প্রাণহানি। মঙ্গলবার (২৩ মে) দেশের ১১ জেলায় ঝড় ও বজ্রপাতে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
বজ্রপাতে নয় জেলায় ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে নরসিংদী, পাবনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, শরীয়তপুর, নেত্রকোনা, নওগাঁ, সুনামগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলায় বজ্রপাতে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে এসব জানা গেছে।
দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কালবৈশাখীর সময় মাঠে কাজ করতে গেলে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। জানা যায়, নরসিংদীতে বজ্রপাতে নারী ও শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়ায় বজ্রপাতে ৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গতকাল রোববার (২১ মে) তাদের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২১ মে) বিকেলে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের হরিপুর ও শান্তিপুর গ্রামের মাঝামাঝি একটি ক্ষেতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দেশের দুই জেলায় আজ বুধবার বজ্রপাতে ৫ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তন্মধ্যে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় বজ্রপাতে ৩ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ মে) বিকেলে উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের চর চৌগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় বজ্রপাতে ৩ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার বাড়ছেই। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে বাংলাদেশে। বজ্রপাতে বিশ্বে যত মানুষ মারা যায়, তার এক-চতুর্থাংশই বাংলাদেশে। দেশের হাওড়, বাঁওড় ও বিলপ্রবণ জেলায় বজ্রপাতের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার তিন ইউনিয়নে পৃথক পৃথকভাবে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জে বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের বাগডুমুর গ্রামে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। মৃত কৃষকরা হলেন- আব্দুল মালেক (৫০) ও মো. সোলেমান শেখ (৪২)।
দেশের ছয় জেলায় বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে বজ্রপাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুইজন, সাতক্ষীরায় দুইজন, যশোর, মেহেরপুর, রাজবাড়ী ও ঝিনাইদহে একজন করে মৃত্যু হয়েছে।
বজ্রপাতে মো. মহসিন নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। সোমবার সাতক্ষীরার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
সুনামগঞ্জের ৩ উপজেলায় বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন কৃষক ও একজন শিক্ষার্থী।
সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলায় বজ্রপাতে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।