মতামত | Ridmik News
মতামত
জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন চিরঞ্জীবী, মৃত্যুঞ্জয়ী!
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেহ-আত্মার পরিসমাপ্তি ঘটেছে বটে কিন্ত তিনি অবিনশ্বর, তিনি চিরঞ্জীবী! তিনি একজন ব্যক্তিই নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান যা মানবতার দেয়াল দিয়ে ঘেরা, আলোয় আলোয় আলোকিত করে সর্বময়। তাঁর আলো ছড়িয়ে যাবে সর্বপ্রান্তে, সর্বযুগে। নিস্বার্থ দেশপ্রেমিক মানুষটি বেঁচে থাকবেন দীন-জনের মনিকৌঠায়। এসব কারণেই তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী।
নানাবিধ সংকটে সাংবাদিকতা, সমাধান জরুরি!
ভেতরের এবং বাইরের সবকিছু জেনে-শুনে শিক্ষার্থীরা এখন আর সাংবাদিকতা করতে চাইবে বলে আমার মনে হয় না। এমনিতে সাংবাদিকতার আর্থিক তেমন কোন নিরাপত্তা নেই হাতে গোনা কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ছাড়া। চাকরির নিরাপত্তা নেই সাংবাদিকদের।
শেখ হাসিনাই বিনির্মাণ করবেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা'
স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম বলতে যাদের বোঝায় তারা ত্রিধাবিভক্ত। প্রথম যারা দেশ স্বাধীন করেছে, মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল, লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুই নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন ৭ মার্চের ভাষণে "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম"। এ ঘোষণাতে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য কী ছিল তা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন।
ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু
সাতচল্লিশে দেশবিভাগের এক বছরের মধ্যেই বাঙালি জাতি ভাষার স্বাধিকার আন্দোলনে নেমেছিল। বায়ান্ন সালে মাতৃভাষার অধিকার ও মর্যাদা সংরক্ষণের জন্য এ জাতির বীরসন্তানেরা জীবন উৎসর্গ করেছিল। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিসংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই জাতির প্রকৃত ভিত্তিসূত্র বাংলা ভাষা।
ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজন বিশেষ অভিযান ও সমাজথেরাপী!
মাত্র ২৫ হাজার টাকা দিতে না পারায় কৃষকদের জেলে যেতে দেখেছি। হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতকারীরা বিদেশে টাকা পাচার করে দেশে বীরদর্পে ত্রাণ বিতরণ করে "মানবসেবা" করে। তাদের কখনো দেখিনি জেলে যেতে। আর আরেক শ্রেণির মানুষ তাদের "বিশিষ্ট সমাজসেবক" বা "কৃতিসন্তান" অভিধায় অ্যাখ্যায়িত করেন।
জাতিসংঘ: প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্য পূরণে সফলতা ও ব্যর্থতা
বিংশ শতাব্দীতে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ছিল উল্লেখ করার মতো একটি ঘটনা। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বড় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জাতিসংঘ। প্রতিষ্ঠার পর এটি সারা বিশ্বে শান্তি বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতিসংঘের প্রধান উদ্যোগগুলির মধ্যে রয়েছে শান্তি নিশ্চিতকরণের বিকল্পগুলো অন্বেষণ, জরুরী পরিস্থিতিতে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা সরবরাহ এবং বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সংঘাত রোধ করা। যে লক্ষ্য নিয়ে জাতিসংঘের সৃষ্টি তা পূরণে সংস্থাটি আদৌ সফল? সফলতা ব্যর্থতা নিয়ে জাতিসংঘকে নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। যাইহোক এবার সংস্থাটি নিয়ে আদ্যপ্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মহাপ্রয়াণ: বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের সমাপ্তি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মহাপ্রয়ানে জাতি আরেকজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হরালো। তিনি গতকাল রাত ১১ঃ৪০ সিএমএইচে ৮৭ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজেউন। এই মহাপ্রয়াণে বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। রাজনীতিতে নারী নেতৃত্বের বিকাশে সাজেদা চৌধুরীর ভূমিকা অনন্য। তিনি বাংলাদেশের প্রথিতযশা নারী রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।
১৬৮ বছরে চা শ্রমিকদের দৈনিক মুজরি ১৬৮ টাকাও হয়নি!
বর্তমানে চা শ্রমিকদের দৈনিক মুজরি ১২০ টাকা। ৩০০ টাকা দৈনিক মুজরি চান চা শ্রমিকরা। এজন্য আন্দোলন করছেন। ৩০০ টাকাতেও কিছু হয় না। ১২০ টাকা মুজরি প্রদান আধুনিক যুগেও দাসত্ব (modern slavery) জিইয়ে রাখা ছাড়া কিছুই নয়। ব্যাবসার সঙ্গে মানবাধিকার ও অধিকার যুক্ত। চা বাগানের মালিকরা ব্যাবসা করবে আর আইন ও মানবাধিকার রক্ষা করবেন না তা হয় না। ১২০ টাকা মুজরি প্রদান অধিকার ও মানবসধিকার উভয়ের লঙ্ঘন। এই মুজরি দৈনিক ৭০০-১০০০ টাকা হওয়া উচিত।
আজ যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন....
বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির জন্ম যেই মহান ব্যক্তির হাতে তাঁকে স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মাথায় গোটা পরিবারসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই দেশ গঠনে ব্যস্ত হয়ে পড়া এ মহান নেতা যদি সেদিন বেঁচে যেতেন এবং আজও জীবিত থাকতেন তাহলে কেমন হতো আজকের বাংলাদেশ? এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহামুদুল হক। পাঠকদের জন্য হুবহু তা তুলে ধরা হলো।
ইউক্রেন-রুশ সংঘাতে গণমাধ্যমের দায়হীনতা ডেকে আনবে যুদ্ধের ভয়াবহতা!
আমরা যারা যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমকে ‘দেবতা’ হিসেবে মেনে নিয়ে যা লিখছে কিংবা প্রচার করছে, ভিন্ন অবস্থান থেকে এ নিয়ে কোন খোঁজখবর না রেখে নিয়মিতভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করছি, জুডিথ মিলারের কাহিনি তাদের জন্য জুতসই এক তুলনামূলক দৃষ্টান্ত বিবেচিত হতে পারে। নিউইয়র্ক টাইমসের সাবেক সেই প্রতিবেদকের সেদিনের হঠকারী অবস্থানের কল্যাণে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন দুই লাখের বেশি মানব সন্তান। তাই এই দৃষ্টান্ত আমাদের আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে যে সাংবাদিক কিংবা সংবাদ প্রতিবেদক বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ না থাকলে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
ভাষা আন্দোলনের নেপথ্যের মূল সংগঠক বঙ্গবন্ধু
ঐতিহাসিকভাবে বাংলা যেমন শোষিত শ্রেণির ভাষা, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনও শোষিত শ্রেণির মুক্তির জন্য লড়াই-সংগ্রাম করা। সেই অর্থেও বঙ্গবন্ধু, বাংলা ভাষা ও বাঙালির আন্দোলন একই সূত্রে গাঁথা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের আগেও যুগে যুগে বাংলা ভাষা নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হয়েছে। তেরো শতকে তুর্কি, এর কিছুকাল পর পর্তুগিজ, ষোড়শ-সতেরো শতকে ফরাসি, আঠারো শতকে ইংরেজি ভাষীরা বাংলার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ও গোপনে ষড়যন্ত্র করেছে- শত্রুতায় লিপ্ত হয়েছে। বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র চূড়ান্ত প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারই কি একমাত্র সমাধান?
আজকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি বিএনপি তুলছে তা সঠিক নয়। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এহেন চিন্তার অবকাশ নেই। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে ক্ষমতাসীন সরকারের (ভারত, ব্রিটেন ইত্যাদি দেশে) অধীনে নির্বাচন হলেও তা অবাধ এবং নিরপেক্ষ হয়। ভারতে নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনকালীন সার্বিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও Incumbent সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, হতে পারে না, এটা ঠিক নয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই তো সরকারি দলের প্রার্থী বিজয়ী হননি। নির্বাচন নিরপেক্ষ না হলে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়া তো খুব কঠিন ছিল না।
জনগণের কল্যাণেই সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড হওয়া উচিত
তাঁর সবচেয়ে বৃহত্তম কৃতিত্ব হচ্ছে ৭৫ এর প্রতি বিপ্লবের পর বাংলাদেশকে স্বাধীনতার প্রকৃত ধারায় ফিরিয়ে আনা। বঙ্গবন্ধু জাতির জনক, শেখ হাসিনা তার কন্যা। বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিকতায় সাংবিধানিক উপায়ে তিনি ক্ষমতায় অধীষ্ঠিত হয়েছেন। কেউ তাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেননি। হ্যাঁ, নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধু জাতির জনক, তার পিতা। এটা তার জন্য একটা সুবিধা ছিল কিন্তু তাকে সুদীর্ঘ সময়ের সংগ্রাম করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হতে হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে আসার জন্যেও তাকে সুদীর্ঘকাল অপেক্ষা করতে হয়েছিল।