হজ
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ১৮ হাজার ৭৮৪ জন হাজি। শুক্রবার (২২ জুলাই) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্পডেস্কের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এবার হজে গিয়ে এ নিয়ে ২৩ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী ও হাজি মারা যান। তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও সাতজন নারী। ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৪ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫১টি ফ্লাইট হাজিদের নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২২টি, সৌদিয়া এয়ারলাইনসের ২৪টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালনা করে পাঁচটি ফ্লাইট। আগামী ৪ আগস্ট ফেরত হজযাত্রীদের শেষ ফ্লাইট ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
সৌদি আরবে আরও একজন হাজি মৃত্যু বরণ করেছেন। তিনি মক্কায় মারা গেছেন। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে সর্বমোট ২১ হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫ জন ও নারী ৬ জন। মক্কায় ১৭, মদিনায় ৩ ও জেদ্দায় একজন মারা যান। রোববার (১৭ জুলাই) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্প ডেস্ক থেকে এসব তথ্য এ তথ্য জানানো হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, গতকাল শনিবার (১৬ জুলাই) পবিত্র মক্কায় মারা যান মোরশেদ হাসান সিদ্দিকী (৫৮)। তিনি ঢাকা জেলার বাসিন্দা। তার পাসপোর্ট নম্বর- EE0064888। এদিকে, আইটি হেল্পডেস্ক আরও জানিয়েছে, ফিরতি ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর থেকে গত তিনদিনে হজ শেষে সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন ছয় হাজার ৫০১ জন হাজি। মোট ফিরতি ফ্লাইটের সংখ্যা ১৮টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত আটটি, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স পরিচালিত আটটি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালনা করে দুটি ফ্লাইট। বৃহস্পতিবার থেকে হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ৪ আগস্ট।
হজ শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ৪ হাজার ৩৩২ হাজি। অন্যদিকে, সৌদিতে আরও একজন হাজি মারা গেছেন। শনিবার (১৬ জুলাই) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্পডেস্ক থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলার ফারজিন সুলতানা (৪০) পবিত্র মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন। তার পাসপোর্ট নম্বর- BW0389830। এ নিয়ে সৌদি আরবে মোট ২০ হজযাত্রী-হাজি মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪ জন ও নারী ৬ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ১৬, মদিনায় ৩ ও জেদ্দায় একজন মারা যান। গত ৮ জুলাই সৌদি আরবে হজ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৫ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ১৬৫টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রী (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ)। বৃহস্পতিবার থেকে হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। আইটি হেল্পডেস্ক জানিয়েছে, দুদিনে মোট ৪ হাজার ৩৩২ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। মোট ফিরতি ফ্লাইটের সংখ্যা ১২টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাঁচটি, সৌদিয়ার ছয়টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট আছে। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ৪ আগস্ট।
চট্টগ্রামে হজের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট আসবে আগামী ২০ জুলাই। ওইদিন ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) শুরু হওয়া ফিরতি হজ ফ্লাইট চলবে ৪ আগস্ট পর্যন্ত। এদিন রাত সাড়ে ১০টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করা ফ্লাইটে ৪১৯ জন হাজি দেশে ফিরেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম জেলা ম্যানেজার সরোজ কান্তি বড়ূয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এবার ফিরতি হজ ফ্লাইটে প্রায় পাঁচ হাজার ২০০ হাজি শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরবেন। গত ১৫ জুন চট্টগ্রামের হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়। শেষ হয় ২৮ জুলাই। এ সময়ের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের ১১টি নির্ধারিত ফ্লাইটে মদিনা ও জেদ্দার উদ্দেশে চট্টগ্রাম ছেড়ে যান পাঁচ হাজার ২০০ হাজি।
হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশে ফিরেছেন এক হাজার ১৭৪ হাজি। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দিনগত রাত ২টা পর্যন্ত তারা দেশে এসেছেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে হজ করতে গিয়ে এ বছর ১৬ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ১১ জন, নারী পাঁচজন। উল্লেখ্য, এবার বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজ পালন করেছেন। হজ ব্যবস্থাপনা ও হজ প্রতিনিধি দলসহ এবার ১৬৫টি ফ্লাইটে হজে যান তারা। এরমধ্যে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ৩০ হাজার ৩৬৩ জন, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৩ হাজার ৯১৯ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৮৬৪ জন হজযাত্রী সৌদি গিয়েছিলেন।
পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ৪১৬ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। শিডিউল অনুসারে রাত ১০টায় ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা থাকলেও আধা ঘণ্টা বিলম্বে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ বছর প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট এটি। হজের ফিরতি ফ্লাইট চলবে ৪ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান জানান, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার ১৩৯ জন পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৮৭টি ফ্লাইটে ৩০ হাজার ৩৬১ জন, সৌদি এয়ারলাইনসের ৬৩টি ফ্লাইটে ২৩ হাজার ৯১৪ জন ও নাস এয়ারের ১৪টি ফ্লাইটে পাঁচ হাজার ৮৬৪ জন সৌদি আরব গেছেন। তিনটি এয়ারলাইনসের মোট ফ্লাইটের সংখ্যা ১৬৪টি।
হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে। হাজিদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফিরতি ফ্লাইটটি (বিজি-৩৫০২) বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করার কথা রয়েছে। ফ্লাইটটি সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে ৪১৬ জন হাজি নিয়ে দেশে ফিরছেন। ফিরতি হজ ফ্লাইট চলবে ৪ আগস্ট পর্যন্ত। বিমান কর্মকর্তারা জানান, হাজিদের জন্য পবিত্র জমজম কূপের পানি আগেই ঢাকার বিমানবন্দরে বহন করা হয়েছে। বিমান, সৌদি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে এই পানি বহন করা হয়েছে। বিমানবন্দরে বিমানের পক্ষ থেকে ওই পানি হাজিদের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। এ ব্যপারে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম জানান, হাজিদের আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তাদের ফ্লাইট থেকে নামার দ্রুত আনুষ্ঠানিকসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পবিত্র হজ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই)। আজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ফ্লাইট জেদ্দা থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেবে। এখন পর্যন্ত ওই ফ্লাইটে কতজন যাত্রী থাকবে, তা নির্ধারণ করা হয়নি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ হজ অফিস (ঢাকা) জানায়, বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসেরও (সাউদিয়া) ফ্লাইট রয়েছে। বিমান, সাউদিয়া এবং ফ্লাইনাসের ফ্লাইটে সব হজযাত্রী দেশে ফিরতে ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময় লাগবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে প্রথম দফায় ৫৭ হাজার ৫৮৫ জনকে হজে যাওয়ার সুযোগ দেয় সৌদি সরকার। পরবর্তীতে জুলাইয়ে দ্বিতীয় দফায় আরও ২ হাজার ৪১৫ জন হজে করতে সৌদি গেলে মোট হজযাত্রী বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ হাজার। হজ ব্যবস্থাপনা ও হজ প্রতিনিধিদলসহ এবার ১৬৫টি ফ্লাইটে হজে যান মোট ৬০ হাজার ১৪৬ জন। এবার সৌদি আরবে মারা গেছেন ১৫ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী। তাদের মধ্যে পুরুষ ১০ জন ও নারী ৫ জন।
যেকোনো মুসলমানের জীবনে সবচেয়ে আনন্দের দিন যখন তারা হজের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। হজগামীদের বিদায় দেয়ার সময় দোয়া করা ছাড়াও আমাদের প্রিয়জনদের জন্য কিছু ছোট উপহার নিয়ে ফেরার অনুরোধও করি। মক্কা ও মদীনা মুসলিম জাহানের নিকট বেশ সম্মানিত স্থান। সেখানকার ধূলিকণা থেকে শুরু করে পণ্যদ্রব্য সবকিছুই আমরা সাদরে গ্রহণ করি। অনেক সময় হাজীরা চিন্তায় পড়েন, কেমন উপহার নিয়ে গেলে দেশের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা খুশি হবেন! আর তাই আজ আমরা এমন ৫টি মর্যাদাপূর্ণ উপহার নিয়ে আলোচনা করবো-
পবিত্র হজ পালন শেষ হয়েছে। বাংলাদেশি হাজিরা দেশে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। তবে প্রথম ফ্লাইটে কতজন যাত্রী থাকবেন, তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। বাংলাদেশ হজ অফিস (ঢাকা) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সেরও (সাউদিয়া) ফ্লাইট রয়েছে। বিমান, সাউদিয়া এবং ফ্লাইনাসের ফ্লাইটে সব হজযাত্রী ফিরতে ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময় লাগবে। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন বাংলাদেশির হজ করার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে আরও ২ হাজার ৪১৫ জন যুক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে ৬০ হাজারে পৌঁছায়। হজ ব্যবস্থাপনা ও হজ প্রতিনিধিদলসহ ১৬৫টি ফ্লাইটে হজে যান মোট ৬০ হাজার ১৪৬ জন। সৌদি আরবে এবার হজে গিয়ে মারা গেছেন ১৫ জন হজযাত্রী। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী।
চলতি বছর পবিত্র হজে গিয়ে আরও দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী রয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সর্বশেষ মৃতদের মধ্যে রয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সুলতানপুরের শিরিনা আক্তার (৬০) ও নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোয়ালা গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম (৫২)। এর আগে ৮ জুলাই পবিত্র হজ পালিত হয়েছে। এবার বিদেশ থেকে সাড়ে আট লাখসহ মোট ১০ লাখ মুসুল্লিকে নিয়ে হজ অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে সারাবিশ্ব থেকে প্রায় ২৫ লাখ মুসুল্লি হজে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরে মহামারি সংখ্যা হ্রাস করতে বাধ্য করেছিল। ২০২১ সালে মাত্র ৬০ হাজার সৌদির বাসিন্দা হজে অংশ নিয়েছিল, যা ২০২০ সালে ছিল মাত্র কয়েক হাজার। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১৪ জুলাই। শেষ হবে ৪ আগস্ট।
সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল পায়ে হেঁটে পবিত্র মক্কায় গিয়ে হজ করবেন। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন ব্রিটিশ নাগরিক অ্যাডাম মুহাম্মদ। নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, তুরস্ক, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান এই নয়টি দেশ পেরিয়ে অবশেষে সৌদি আরবে পৌঁছান ৫২ বছর বয়সি অ্যাডাম। এই হজযাত্রায় অ্যাডাম ১১ মাস ২৬ দিনে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন। তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডের উলভারহ্যাম্পটন থেকে। অ্যাডাম প্রতিদিন গড়ে ১৭.৮ কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দেন এ সময়। গত ২৬ জুন মক্কার আয়েশা মসজিদে পৌঁছান তিনি। মক্কায় অ্যাডামকে স্বাগত জানান বিপুলসংখ্যক হাজী ও স্থানীয় বাসিন্দা।
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করেছেন ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৩ জন মুসলমান। দেশটির পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের দেয়া বিবৃতির বরাতে গতকাল শুক্রবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি গেজেট। বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৪ জন সৌদি আরবের আবাসিক এবং অনাবাসিক নাগরিক। হজ পালন করা বিদেশির সংখ্যা ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৯১৯ জন। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হজ পালন করা পুরুষের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫৮ জন এবং নারীর সংখ্যা ৪ লাখ ১২ হাজার ৮৯৫ জন। ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র হজ পালন করা হয় আজ। দুই বছর বিরতির পর সারাবিশ্ব থেকে ১০ লাখ হজযাত্রীকে হজের অনুমতি দেয় সৌদি সরকার। প্রতি হিজরি বছরের ৯ জিলহজ মুসলিম উম্মাহকে হজ পালনে ঐতিহাসিক আরাফার ময়দানে উপস্থিত হতে হয়। এই নির্দেশ পালনে এবার ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৩ জন মুসলমান আরাফার ময়দানে উপস্থিত হয়েছিলেন।
মহামারি করোনা ভাইরাসের কঠোর বিধিনিষেধ যুগে সবচেয়ে বেশি মানুষের জমায়েত নিয়ে সৌদি আরবের আরাফাত ময়দানে সমবেত হয়েছেন হাজিরা। শুক্রবার (৮ জুলাই) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে বারোটার দিকে খুতবা শুরু করেন সৌদি আলেম শায়খ মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসা। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে হাজিদের অনেকেই ছাতা ব্যবহার করছেন। আরাফাত ময়দানের পাথরে বসে কুরআন তেলাওয়াত করছেন তারা। এই ময়দানেই বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা)। এই বছর হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন দশ লাখ মুসলিম। গত দুই বছর মহামারির কারণে হাজির সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমানো হয়। দিনভর আরাফাত ময়দানে অবস্থানের পর হাজিরা কাছের মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাবেন। আর শনিবার শয়তানের প্রতি প্রতীকি পাথর নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন। মিসরীয় হাজি সাদ ফারহাত খলিল বলেন, ‘অন্য সবার মতো এখানে থাকতে পারায় আমি খুশি। করোনাভাইরাস যুগে এটাই সবচেয়ে বড় হজ, তারপরও এটা যথেষ্ট নয়’। তিনি বলেন, ‘আজ এখানে দশ লাখ আছেন কিন্তু সৌদিরা অনুমতি দিলে আরও এক কোটি মানুষ এখানে থাকতেন’।
সৌদি আরবে হজ করতে গিয়ে আরও ২ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর বাংলাদেশি হাজীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্পডেস্কের হজ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সর্বশেষ মারা যাওয়া দুই হজযাত্রীর মধ্যে একজনের তথ্য জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিরিনা আক্তার (৫৯) বৃহস্পতিবার মক্কায় মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর- EF0852839। এর আগে সৌদিতে মারা যাওয়া ১৩ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন এবং নারী ৪ জন। মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্পডেস্ক আরও জানিয়েছে, সারা বিশ্ব হতে আসা হজযাত্রীদের মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। মিনায় আসা সব হজযাত্রী আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করছেন।