তাইওয়ান
সম্প্রতি মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। শুক্রবার ( ৫ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৫ আগস্ট) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি তাইওয়ান সফরের মাধ্যমে ন্যান্সি পেলোসি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতরভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন । তিনি চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতাকে নিদারুনভাবে অবমূল্যায়ন করেছেন। পেলোসির সফরের আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে রেখেছিল চীন। তবে পেলোসি এসব হুমকির মধ্যেই তাইওয়ান সফর করেন। বৃহস্পতিবার ( ৪ জুলাই) পেলোসির সফরের জেরে ২২টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ সীমায় পাঠায় চীন। পাশাপাশি তাইওয়ান প্রণালীতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে বেইজিং। ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং।
সম্প্রতি মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে তাইওয়ান ঘিরে ধরে ভয়াবহ সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। চীনের এই সামরিক মহড়ার আওতায় তাইওয়ান ও জাপানের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপর গোটা অঞ্চলে আরও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, এরই মধ্যে সামরিক মহড়ার আওতায় কমপক্ষে ৪ টি ক্ষেপণাস্ত্র তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের উপর দিয়ে উড়িয়ে সমুদ্রে নিক্ষেপ করেছে চীনা বাহিনী। তবে সেগুলো বায়ুমণ্ডলের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ায় সরাসরি কোনও হুমকি সৃষ্টি করেনি বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে চীন এখনও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। এদিক, তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং-চাং শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, চীন নির্বিচারে সামরিক মহড়া চালিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত জলপথ ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ সময় তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে ‘দুষ্ট প্রতিবেশী’ হিসেবে আখ্যা দেন। সু সেং-চাং বলেন, 'একাধিক প্রতিবেশী দেশ ও গোটা বিশ্ব চীনের আচরণের নিন্দা করছে।' তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, তার দেশ সংঘাত উসকে দেবে না, 'শুধু সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা জোরালোভাবে রক্ষা করবে।'
সম্প্রতি মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে তাইওয়ান ঘিরে ধরে ভয়াবহ সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। চীনের দাবি, রুটিন সামরিক মহড়া চলছে। কিন্তু যেভাবে তারা এই মহড়া শুরু করেছে, তাতে চিন্তিত তাইওয়ান। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় বেলা ১২টা থেকে চীন এই মহড়া শুরু করে। জল, স্থল এবং আকাশে মহড়া চলছে। একের পর এক যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর উপর দিয়ে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে উড়ে গেছে। যুদ্ধ জাহাজ কার্যত ঘিরে রেখেছে তাইওয়ানকে। তাইওয়ানের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে যুদ্ধজাহাজ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। নৌ এবং স্থলসেনা লাগাতার গোলাবারুদ ছুঁড়ছে বলে অভিযোগ। একের পর এক ব্যালিস্টিক মিসাইলও তাইওয়ান প্রণালীতে সমুদ্রের পানিতে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। সামান্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেই তা তাইওয়ানের মূলভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে। তাইওয়ান প্রমালী চীনের মূল ভূখণ্ড এবং তাইওয়ানকে আলাদা করেছে। মহড়ায় নেমেছে চীনের স্থলসেনাও। চীন লিবারেশন আর্মি অবশ্য জানিয়েছে, এটি তাদের রুটিন মহড়া। মূল ভূখণ্ড থেকে সমুদ্র লক্ষ্য করে মিসাইল ছোঁড়া হচ্ছে। এদিকে, তাইপেই জানিয়েছে, তাইওয়ানের উপর দিয়েও মিসাইল ছুঁড়েছে চীন। তাইওয়ান পার করে যা পানিতে গিয়ে পড়েছে। পুরো তাইওয়ানে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের সামরিক মহড়া নিজেদের সার্বভৌম অধিকারের মধ্যে থেকেই করছে বলে মনে করে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে পেসকভ বলেন, 'তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক মহড়া চীনের সার্বভৌম অধিকার। চীনের এই মহড়ার জেরে পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে যুদ্ধপরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি দায়ী করে তিনি আরও বলেন, 'তাইওয়ান ও পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে বর্তমানে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে, তার প্রধান ও একমাত্র কারণ পেলোসির সফর। সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় একটি সফরের মধ্য দিয়ে এখানে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়েছে, যার কোনো দরকার ছিল না।'
তাইওয়ানের সমুদ্রসীমায় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া এই সামরিক মহড়াকে ওই অঞ্চলে চীনের নজিরবিহীন কর্মকাণ্ড বলে অবিহিত করেছেন নিরপত্তা বিশ্লেষকরা। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) তাইওয়ান অঞ্চলে চীনের সামরিক মহড়া শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাইওয়ানের নিকটবর্তী ২০ কিলোমিটারের মধ্যে মোট ৬টি অঞ্চলে এই মহড়া পরিচালনা করছে চীন। রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের যুদ্ধবিমানগুলো ইতোমধ্যেই তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এই মহড়ার কারণে আশেপাশের অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজ ও যাত্রীবাহী বিমান চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী রোববার (৭ আগস্ট) পর্যন্ত চলবে এই মহড়া।
চীনের হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সংক্ষিপ্ত সফর শেষে বুধবার (৩ আগস্ট) তাইওয়ান ছেড়েছেন। ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরই দ্বীপটিকে ঘিরে সমুদ্রসীমায় সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব জানানো হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানের চারদিকে মোট ছয়টি জায়গায় তারা তাজা গোলাবারুদ ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তিনদিন ধরে এ সামরিক মহড়া চালাবে বলে জানায়। যেটি আজ বৃহস্পতিবার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তাইওয়ান বলছে, এরই মধ্যে ২৭টি চীনা যুদ্ধবিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, অজ্ঞাত বিমান, সম্ভবত ড্রোন দূরবর্তী কিনমেন দ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে গেছে। আর সেগুলোকে সতর্ক করতে তাইওয়ানও তাদের জেট উড়িয়েছে। এ ছাড়া সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সামরিক বাহিনী। পেলোসির তাইওয়ান সফরের আগে গত বুধবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বেইজিং। ওইদিন এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, 'যারা আগুন নিয়ে খেলে, তাদের ভালো পরিণতি হবে না এবং যারা চীনকে অপমান করে, তাদের শাস্তি দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত গণতন্ত্রের আড়ালে চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে।'
চীনের হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে পেলোসি তাইওয়ান পৌঁছনোর দিন সন্ধ্যাতেই তাইওয়ান সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনী নিয়ে জমায়েত শুরু করেছে চীন। টুইটারে 'ইয়িন সুরা' নামক একটি হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, চীনের ফুজিয়ানের ব্যস্ত রাস্তায় সারি সারি ট্যাঙ্ক পেরিয়ে যাচ্ছে। আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দাবি করা হয়েছে, পেলোসি তাইওয়ান পৌঁছনোর দিন সন্ধ্যাতেই তাইওয়ান সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনী নিয়ে জমায়েত করতে শুরু করেছে চীন। এমন হুমকির প্রতিক্রিয়ার পর তাইওয়ানের পূর্ব সীমান্তে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে হোয়াইট হাউস। পেলোসির নিরপত্তার অজুহাতে দক্ষিণ চীন সাগরের ওই দ্বীপে আমেরিকার যুদ্ধবিমানের বহরও ঢুকে পড়েছে।
চীনের হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এই সফর শেষ করে এরইমধ্যে দ্বীপ অঞ্চল ছেড়েছেন পেলোসি। বুধবার (৩ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে রাজধানী তাইপের বিমানবন্দর তিনি ত্যাগ করেন বলে এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এর আগে, সকালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন পেলোসি। মঙ্গলবার রাতে তাইপেতে পৌঁছানোর পর পেলোসি বলেন, 'বন্ধুত্বের খাতিরে আমরা তাইওয়ানে এসেছি, এই অঞ্চলের শান্তির জন্য আমরা এখানে এসেছি।'
তাইওয়ানের অনেক মানুষ তাদের স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে একটি পৃথক জাতি হিসেবে বিবেচনা করে। তাদের স্বাধীনতা কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হোক বা না হোক তারা নিজস্বতা নিয়েই বাঁচতে চায়। আজ আমরা আলোচনা করব চীন-তাইওয়ান উত্তেজনার পেছনে থাকা ঐতিহাসিক কারণগুলো নিয়ে।
বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত নৌপথ তাইওয়ান প্রণালী। এ পথ দিয়ে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক কনটেইনারবাহী জাহাজ বহর এবং প্রায় ৮৮ শতাংশ বৃহত্তম জাহাজ এই জলপথ পাড়ি দেয় বলে জানাচ্ছে ব্লুমবার্গের সংকলিত তথ্য।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বুধবার (৩ আগস্ট) রাজধানী তাইপেতে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট সাই ইংওয়েনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট সাই ইংয়েন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ও পেলোসির এই বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি অনলাইন এবং আল-জাজিরা। এদিন পেলোসির উদ্দেশে সাই ইংয়েন বলেন, 'তাইওয়ানের সঙ্গে স্পিকার পেলোসির গভীর এবং দীর্ঘদিনের সম্পর্ক…ম্যাডাম স্পিকার আপনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে।' এর আগে বুধবার সকালে তাইওয়ানের পার্লামেন্টে যান পেলোসি। পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তব্যে পেলোসি বলেন, 'স্ব-শাসিত এই দ্বীপটি ‘বিশ্বের অন্যতম স্বাধীন সমাজ’ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এর প্রশংসা করে।'
কড়া হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিবাদে বেইজিংয়ে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নসকে তলব করেছে চীন। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে পেলোসি তাইপে অবতরণের পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নিকোলাসকে তলব করে বেইজিং। চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি ফেং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, পেলোসির এই সফরের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে চীন। তাইওয়ান চীনের অংশ বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, পেলোসির সফরের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে এবং গুরুতর পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নসের সঙ্গে কথা বলার সময় পেলোসির এ সফরকে ঘিরে আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। যদিও রাষ্ট্রদূতকে তলব করার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
চীনের সামরিক হুমকি পায়ে ঠেলে তাইওয়ান সফরে গেছেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার এই সফরে বেইজিং ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং এতে করে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র উত্তেজনা।