মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
র্যাব নয়, নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত সরকারের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করেছে।মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতেই তা প্রমাণিত।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই আমাকে বলাবলি করছে ডা. জাফরুল্লাহ এই নির্বাচন কমিশনকে অনেক ভাল বলেছেন, আপনারাও মেনে নেন। আমি পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই ডা. জাফরুল্লাহ সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এটা তার নিজস্ব মন্তব্য। তিনি সবার শ্রদ্ধার মানুষ, জ্ঞানী মানুষ। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি বিএনপির পক্ষে কথা বলার কেউ নন। তার বক্তব্য বিএনপির বক্তব্য নয়। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যেটাই হোক আমরা তাতে বিশ্বাস করি না। কারণ আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনের সময় সরকারে থাকে তাহলে কোনো নির্বাচন কমিশনই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ একটি প্রতারক দল, মিথ্যাবাদী ও অত্যাচারী দল। নির্বাচন কমিশনের তালবাহানা আর মুলা দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে সর্বত্র পণ্য সরবরাহের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর বিএনপি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাতে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (সিএইচআরআইও) দেওয়া ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা তুলে দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানের বাসভবনে গিয়ে তার হাতে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর এ সম্মাননা তুলে দেন মির্জা ফখরুল। এদিন রাত সোয়া ৯টার দিকে দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পুরস্কার পাওয়ার সাড়ে তিন বছর পর মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় বিএনপি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার স্ত্রীসহ তাদের বাসার সবাই করোনামুক্ত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা এবং বাসার অন্য সদস্যরা করোনা পজেটিভ হয়েছিলেন। আজকের সর্বশেষ পরীক্ষার রিপোর্টে সবাই নেগেটিভ এসেছেন। এর আগে শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করলে গত ১০ জানুয়ারি সস্ত্রীক মির্জা ফখরুলের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর তারা বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলেও এই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হলেন মির্জা ফখরুল। যদিও এরইমধ্যে খালেদা জিয়াসহ দলের অনেক নেতাই করোনা আক্রান্ত হন।
একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন শহীদ আসাদুজ্জামান। তার এ আত্মত্যাগ গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে আমাদের প্রেরণার উৎস বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী গণআন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী অন্যতম ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে আমরা যদি এদেশের মানুষের মৌলিক ও মানবিক অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলেই তার প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো হবে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণতম আইনজীবী ও বরেণ্য ব্যক্তিত্ব বিচারপতি টি এইচ খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৫টায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি, আইন ও বিচার বিভাগে এক অনন্য নাম বিচারপতি টি এইচ খান। জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার মন্ত্রী হিসেবে বিচারপতি টি এইচ খান দেশগঠনে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্ত্রী, মেয়ে, ভাই, ভাবি ও গৃহকর্মীসহ সবাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের করোনা আক্রান্ত হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে। এরমধ্যে তার বাসার অন্যরা পর্যায়ক্রমে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মির্জা ফখরুলের শারীরিক অবস্থা জটিল না হলেও তার গলায় কাশি আছে। তবে অন্যদের তেমন কোনো জটিলতা নেই। আগামী বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ফখরুল আবারও করোনা পরীক্ষা করাবেন বলে জানান শায়রুল কবির।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে দুজনেই শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থ আছেন। আজ মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে তাদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র আরও জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে হালকা ঠান্ডা জ্বরে ভুগছিলেন মির্জা ফখরুল। এ কারণেই করোনা পরীক্ষার নমুনা দেন তিনি। বর্তমানে তারা দুজনেই রাজধানীর উত্তরার বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন বলেও জানা গেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। গত দেড় দুই মাসে সারা দেশে আমাদের অসংখ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি সমাবেশ থেকে লাখো মানুষের কণ্ঠে একটি আওয়াজ এসেছে- খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। শনিবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন জনগণের দাবি, এটা গণদাবি। এই দাবি অবশ্যই সরকারকে মেনে নিতে হবে। যদি সরকার এই গণদাবি মেনে না নেয়, তাহলে গণ দাবি অস্বীকার করার জন্য অতীতের সরকারগুলোর যে অবস্থা হয়েছে, এই সরকারের সেই পরিণাম ভোগ করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রক্তে হিমোগ্লোবিন ও প্লাটিলেট রেট কমে গেছে, অবস্থা খারাপের দিকে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম জিয়ার হিমোগ্লোবিন ও প্লাটিলেট কমে গেছে, তার অবস্থা খারাপের দিকে। তবে খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ গতকাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল বলে জানান তিনি। সে সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ইকবাল মাহমুদ টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন যা দেশে সম্ভব নয়। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, শুধুমাত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আন্দোলন নয়, আন্দোলন হবে জাতির মুক্তির জন্যও। আমাদের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের স্বপ্নগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সেই কারণে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য তৈরি করে একটি দুর্বার আন্দোলন গড়তে হবে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সত্যিকার অর্থেই গুরুতর অসুস্থ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। কৃষক দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা বলছেন, তার চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়া প্রয়োজন। কেন প্রয়োজন, কারণ এখানে সেই চিকিৎসাটা নেই, যেটা দিলে তিনি সুস্থ হবেন। অর্থাৎ তার চিকিৎসা বাইরে ছাড়া হবে না। কিন্তু সরকার সেটা করতে দিচ্ছে না। তারা চাচ্ছে না তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা করুক। এখন পর্যন্ত তারা সেই দিকে কর্ণপাতই করেনি। তিনি আরও বলেন, উল্টো সরকার শিষ্টাচার বিবর্জিত বহু কথা বলছে খালেদা জিয়াকে নিয়ে। আমরা মনে করি দেশনেত্রীকে তার সুচিকিৎসা পাওয়ার জন্য, তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য শুধু কথায় হবে না বা আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছি তার গতি প্রকৃতিকে আরও কঠোর করতে হবে। আরও দুর্বার করতে হবে।
বিএনপির চেয়ারপার্সন নেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়ে বিএনপির মহা-সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা করা সরকারের জন্যই ভালো। আল্লাহ না করুক তার কোন ক্ষতি হলে এই দেশের জনগণ আপনাদের রেহাই দিবে না। তাই বিলম্ব না করে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন, না হলে খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর জন্য আপনারাই দায়ী থাকবেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কাল বিলম্ব না করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে বিদেশে প্রেরণ করুন।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান। সভায় উপস্থিত এক সাংবাদিক জানতে চান, বেগম জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দলের পক্ষ থেকে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো চিন্তা-ভাবনা আছে কি না- এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য আমরা সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রাখছি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার দাবিতে দলীয় কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন। মির্জা ফখরুল জানান, ২০ নভেম্বর সারাদেশে গণঅনশন পালন করবেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দলের সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।